
ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগকে কে কীভাবে ডিল করা দরকার এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
বেসরকারি একটা গণমাধ্যমের টকশোতে তাকে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারে এরকম একটি আওয়াজ আছে, আপনি কীভাবে দেখেন?
উত্তরে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগকে কীভাবে ডিল করা হবে এই ব্যাপারে আমি ইতোমধ্যে একটা গণ-তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছি। যে কী করা যাবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে এবং এটা আমেরিকান কনগ্রেশনাল হেয়ারিং মডেলের মত একটা পাবলিক হেয়ারিং হতে পারে। ৮-১০ জন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়া হবে, এটা সরাসরি সম্প্রচার হবে। দেশের যে কোন নাগরিক সেখানে রেজিষ্ট্রেশন করে মতামত দিতে পারবে সরাসরি গিয়ে অথবা লিখিত ভাবে। এই কালেক্টিভ মতামতগুলো পাওয়া গেলে ৫-৬ টা সিদ্ধান্ত আসবে কীভাবে আওয়ামী লীগকে ডিল করা হবে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, একটা অপশন হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও ইটালি যেভাবে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদের ডিল করেছে। দ্বিতীয় আসতে পারে সাউথ আফ্রিকান মডেল, যে আপনি কোন লেভেল পর্যন্ত বিচার করবেন। আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি না, এমন লোক ১৬ বছরে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। ইভেন যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন বহু লোক আওয়ামী লীগের কাজ করেছেন গত ১৬ বছরে। তাহলে আপনি কতদূর পর্যন্ত বিচার করবেন ও ক্ষমা করবেন।
তৃতীয় হচ্ছে, আইসিটিতে ব্যক্তির বিচার হচ্ছে; আইসিটির জাজের কাছে আ্যটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে একটা রেফারেন্স যেতে পারে যে, প্রিন্সিপাল অফেন্ডার এবং তাদের পার্টি পোর্টফোলিওর আলোকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত হতে পারে।
চতুর্থত হতে পারে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল মিলে জনগণকে ৩টা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করেছে, কালক্টিভলি আমরা তাদেরকে ৩টা নির্বাচন করতে দিব না।
পঞ্চমত হতে পারে, যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার করা হবে ও আন্তর্জাতিকভাবে আইসিসিতে রেফার করে দেওয়া হবে।
এই রকম ৫-৬ টা অপশন আসলে গণভোট দিয়ে দেন কী করা যায় আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগ যে জাতীয় শত্রু এটা কয়েকজন মিলে ঠিক না করে জনগণের সম্পৃক্ততায় করতে হবে।
সোর্স: https://www.youtube.com/live/oKWrWgwqwcE?si=edo19Sd8H-QS1h6a
রিফাত