ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

রিফাইন্ড আ. লীগ বলে কিছুই নাই,আ. ভোট চোরের দল: সাইয়েদ আবদুল্লাহ

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২৪ মার্চ ২০২৫

রিফাইন্ড আ. লীগ বলে কিছুই নাই,আ. ভোট চোরের দল: সাইয়েদ আবদুল্লাহ

ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে বলেছেন, "রিফাইনড আওয়ামী লীগ নামে আসলে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে ভোট কারচুপি ও নির্বাচনী জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। রিফাইনড আওয়ামী লীগ বা ভালো আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই। যারা রিফাইনড আওয়ামী লীগের কথা বলছেন, তারা সবাই শেখ হাসিনার সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন।"

 

তিনি আরও বলেন, "সোহেল তাজ, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মতো ব্যক্তিরা সবাই শেখ হাসিনার সরকারের অংশ ছিলেন। সোহেল তাজ পদত্যাগ করলেও তিনি কখনো শেখ হাসিনার সরকারের অবৈধতা নিয়ে কথা বলেননি। সাবের হোসেন চৌধুরীও শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি কখনো এই সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেননি। শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং আব্দুল হামিদও শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন। তাদেরকে রিফাইনড আওয়ামী লীগ বলা যায় না।"

 

 

সাইয়েদ আবদুল্লাহ আরও উল্লেখ করেন, "আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ, ভোট ডাকাতি, গুম ও খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের ড্রাফটে রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়। এর মানে সরকার নিজেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না।"

তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর বিচার হওয়া উচিত। সন্ত্রাস দমন আইন এবং রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে যাবে। এরপর সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা করে গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"

 

 

সাইয়েদ আবদুল্লাহ আরও বলেন, "বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই বিষয়ে বিভক্ত। বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে আওয়ামী লীগ নামে আর রাজনীতি করা উচিত নয়, কিন্তু তার দলের অন্য নেতারা ভিন্ন মত পোষণ করেন। জামাতের আমিরও বলেছেন যে নতুন দল গঠন করা উচিত। তবে এই বিষয়ে সবাইকে একমত হতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"

 

 

তিনি শেষে বলেন, "আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিচার হওয়া উচিত। যদি বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অযোগ্য হয়ে যাবে। এরপর সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা করে গণভোটের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"

আঁখি

×