ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

বাতিল আ.লীগকে আর ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না: নুর

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:৪৯, ২৪ মার্চ ২০২৫

বাতিল আ.লীগকে আর ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না: নুর

ছবি:সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, "আমাদের মতপ্রকাশের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে ঐক্যের বিষয়ে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন। বাতিল হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগকে আর কেউ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে একটি দল না থাকলেও দেশের কিছুই হবে না।"

 

 

রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, "রাজনীতি পয়সা কামানোর জায়গা নয়, বরং এটি জনসেবার মাধ্যম। যে যেই দলেই থাকুন না কেন, সকলে মনে রাখবেন—কেউ যেন বলতে না পারে আগের অবস্থাই ভালো ছিল। আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করা হবে না, হামলা বা মামলার শিকার হতে হবে না। রাজনীতিবিদরা জনগণকে জিম্মি করে লুটপাট করবেন না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবেন না।"

তিনি আরও বলেন, "চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী যদি জনগণের পাশে না দাঁড়াত, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো। গণঅভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু বুদ্ধিজীবী কৌশলে গণঅভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তাদের অবদান অস্বীকার করে বিভাজন তৈরি করতে চান, যা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।"

 

 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, "কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের মতো আগামীর বাংলাদেশেও কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করুক। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিদেশি শক্তির সহায়তায় গণহত্যা চালিয়েছে এবং গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করেছে। ভিন্নমতের মানুষদের ওপর মামলা-হামলা চালিয়ে ভারতের নীলনকশায় ফ্যাসিবাদী ও একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছেন, তাদের কারাগারে যেতে হয়েছে।"

 

 

তিনি বলেন, "ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। দেশের জনগণের দাবির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। সরকার বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সেই পদক্ষেপ নেবে। নতুন সরকার গঠিত হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সংকটের সময় রাজনৈতিক দলের নেতা ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ভূমিকা রাখতে হবে।"

সূত্র: https://youtu.be/BVM9J3yiXoc?si=nTXYvzhxtHf1tgIg

আঁখি

×