
ছবি: সংগৃহীত
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, "দেশে নানা ধরনের অস্থিতিশীলতার চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসহ সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, "অস্থিতিশীলতা আমাদের কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। তাই, আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষ, সব বক্তি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, যাতে আমরা সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারি। এই দেশের মানুষের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করার জন্য আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।"
জোনায়েদ সাকি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছেন, তারা যেন দায়িত্বশীল আচরণ করেন। দেশজুড়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, তৌহিদি জনতার নামে মব আক্রমণ, নারীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং মাজারে হামলা চলছে। এসব কাজ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর।"
তিনি আরও বলেন, "এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ভুল বার্তা পাঠাতে সাহায্য করছে।"
১৯৯০ সালে গণ-অভ্যুত্থানের উদাহরণ তুলে ধরে সাকি বলেন, "গণতন্ত্রের আশা নিয়ে আমরা যেভাবে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছিলাম, তা যদিও ঘটেছিল, তবে রাষ্ট্রব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন না আসায় পরবর্তী সরকার একই কাঠামোয় জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। স্বৈরশাসন আবারও ফিরে এসেছে।"
তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা তুলে দিয়ে, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের পকেটে ভরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করে, রাতারাতি ভোট ডাকাতি করে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, যা জনগণের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।"
এ সময় রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামছুজ্জামান সামু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জব্বারসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/I_JRsB7K1R8?si=E-MtvZacZulWFVC-
এম.কে.