
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে গিয়ে দেশপ্রমিক সেনাবাহিনী জনগণের পাঁশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতো। সেদিন সেনাবাহিনী আমাদের পাঁশে দাঁড়িয়েছিল বলেই জনরোষের মুখে হাসিনা স্যান্ডেল ফেলে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। তাই ৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ভূমিকা যারা অস্বীকার করে তারা জাতীয় বেঈমান হিসাবে পরিচিত হবে।
বগুড়া-৪ আসনের সাবেক এমপি আরো বলেন, এর আগে কতিপয় ছাত্র কর্তৃক দাবি করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি অপসারণের। বিএনপি এতে সায় দেয়নি। কারণ, তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে নির্বাচন বানচাল করা। মাঝেমাঝেই তারা আবার বলছেন আগে স্হানীয় নির্বাচন দেয়া হবে। এসবই জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করার চক্রান্ত। দেশের মানুষ ১৭ বছর জাতীয় নির্বাচনের আন্দোলন করেছে। বিএনপি দেশের মানুষের দাবির সাথে একমত হয়ে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায়।
ড. ইউনুসকে গোটা বিশ্বের মানুষ সম্মান করে, তাই সম্মান রক্ষা করতে জনগণের দাবি অনুযায়ী দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিন। যারাই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে তারাই জনগণের সামনে জাতীয় বেঈমান হিসাবে আখ্যায়িত হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্হান দাখিল মাদ্রাসা মাঠে রায়নগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন তিনি।
রায়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মিনহাজ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম। এসময় বক্তব্যে মীর শাহে আলম বলেন, দেশে নির্বাচন বিলম্বিত করতে নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশের সার্বিক পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাওয়ার আগেই দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনা করা জরুরী।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল ওহাব, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম তাজুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আলম মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার হারুনুর রশিদ, পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের , উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জহুরুল ইসলাম ঠান্ডু, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ সাবু, সহ-সভাপতি আফছার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান আরমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবিএম মাসুদ রানা মাছুম, সাধারন সম্পাদক রায়হানুল হক রনি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি বিপুল রহমান।
উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক একেএম ইদ্রিস আলী, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল হক মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হান্নান, পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ যোবায়ের, সিনিয়র সহ-সভাপতি রনি মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলম আক্কাস, পৌর যুবদলের সভাপতি আবু শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মাহদী হাসান তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান সুজন, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান বুলেট, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক শামীম হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জুয়েল হোসেন বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারিক মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি আইয়ুব কাজী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জনি মন্ডল, তাঁতী দল সভাপতি আবু বক্কর, মহিলা দল নেত্রী মিনারা বেগম, ফাইমা আক্তার, শ্রমিক দল নেতা রেজাউল, মিজানুর রহমান, এজাজুল, সাইফুল, মৎস্যজীবী দল নেতা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মীর মুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক মিলু, সহ-সভাপতি আল রাহী, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম আলামিন, সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাঘ, যুবদল নেতা সাগর, কাওসার, ছাত্রদল নেতা রাফি, নাসির প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রায়নগর ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্র কমিটির নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার সাধারণ জনতা ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়। ইফতারের পূর্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্হতা ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
এম.কে.