ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

আ. লীগ নিজে রাজনীতিতে ফেরার পদক্ষেপ নেয়নি, আমরা ঝগড়া করছি: মান্না

প্রকাশিত: ১৫:১০, ২২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৫:১১, ২২ মার্চ ২০২৫

আ. লীগ নিজে রাজনীতিতে ফেরার পদক্ষেপ নেয়নি, আমরা ঝগড়া করছি: মান্না

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে ভোটে আনা নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য আওয়ামী লীগ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা, যারা কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ঝগড়া করে আলোচনায় নিয়ে আসছি।”

আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

মান্না আরও বলেন, “দেশে গণতান্ত্রিক পথ থাকতে হবে এবং তাদের (আওয়ামী লীগের) বিচার হওয়া উচিত।”

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে মান্না বলেন, “আমি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিচ্ছি না। এটি রাজনৈতিক প্রস্তাব। তবে সরকার ও সরকারপ্রধান জনগণকে আহ্বান জানালে, সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।” তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত মাসে সাড়ে সাত সেন্টিমিটারও অগ্রগতি করতে পারেনি। নতুন কোনো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা গ্রহণযোগ্য বক্তব্য তারা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি। এ অবস্থায় রাজনীতি করতে জনগণের সামনে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।”

মান্না আরও বলেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে যদি কিছু সমঝোতা হয় এবং ছাত্ররা বলছে, এ ধরনের সমঝোতা কিছু মানুষের সঙ্গে হয়েছে, তবে কিছু দল সে বিষয়ে এখনও চুপ, তারা কিছু বলছে না। যদি সমঝোতা করেই নির্বাচন হয়, তবে সংস্কার কেন করা হবে? স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতান্ত্রিক পথ পাওয়া গেছে, এখন সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের পর নাগরিক ঐক্য যে ধরনের সংস্কার চেয়েছে, তা হলো—দেশে যেন কোনো স্বৈরাচারী শাসক আর না আসে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসুক, এবং জনগণ তাদের ইচ্ছেমতো প্রার্থী ও দলকে ভোট দিতে পারে। সেই সঙ্গে স্বৈরাচারী শাসকচক্র ও লুটেরাদের বিচারের মুখোমুখি করা যায়। কিন্তু নাগরিক ঐক্য মনে করে যে, সংস্কার কমিশন এসব লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে হাঁটছে।

সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুর কাদের লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যে সংস্কারগুলো, তা নিয়ে কোনো মনোযোগ দেওয়া হয়নি। বরং কিছু অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক প্রস্তাব নিয়ে সময় এবং সম্পদের অপব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, চারটি প্রদেশে দেশ বিভক্ত করা, দ্ব chambersবিশিষ্ট আইনসভা ও সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি, ৫০৫ আসনের আইনসভা ইত্যাদি।”

এছাড়া, নাগরিক ঐক্য মনে করে, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ যে ধরনের সংস্কার করবে, তার জন্য আগেই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জানতে চাচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দলগুলো একমত কি না। নাগরিক ঐক্য ১০৪টি প্রশ্নে একমত, ৫১টি প্রশ্নে একমত নয়, এবং ১১টি প্রশ্নে আংশিক একমত হয়েছে।

এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, কমিশনের প্রশ্ন তৈরিতে অমনোযোগিতার ছাপ রয়েছে।

নাগরিক ঐক্য আরও জানিয়েছে, নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে পক্ষপাতের গুঞ্জন রয়েছে, যা দেশের জন্য কতটা মঙ্গলজনক হবে, তা বলা কঠিন। তবে গণতান্ত্রিক উত্তরণ যে হবে না, তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

শিহাব

আরো পড়ুন  

×