
ছবি:সংগৃহীত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "আমরা একটি অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে বিতাড়িত করা হয়েছে। আজ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, এবং জনগণ নতুন গণতান্ত্রিক সংসদ ও সরকার গঠনের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সময়ে আমরা সবাই আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করব।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা যারা রাজনীতি করছি, যারা বিভিন্ন পেশায় আছি, যারা সরকার বা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা যেন এমনভাবে কথা বলি ও কাজ করি, যাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ আরও সুগম হয়।"
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, "দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল। আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, এবং আমরা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রেখে তাদের প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করে মতামত তুলে ধরছি।"
তিনি উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের ঐতিহ্য, জনগণের রাজনৈতিক ঐতিহ্য, ধর্মীয় মূল্যবোধ, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সামনে রেখেই আমাদের সংস্কার ও অগ্রগতির পথ বেছে নিতে হবে। শুধুমাত্র ইউরোপীয় চিন্তা বা আবেগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদের বাস্তবসম্মত চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পরিবর্তন আনতে হবে এবং একটি নতুন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে।"
মির্জা ফখরুল ইসলাম সবকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে জড়িত, তারা যেন এমন কোনো পদক্ষেপ না নেন যা আমাদের ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে।"
তিনি শেষাংশে বলেন, "বর্তমান সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এখন সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও বারবার বলেছেন, আমরা যেন আমাদের পথ ভুলে না যাই এবং সঠিক পথে পরিচালিত হই। তিনি গত পরশু তার বক্তব্যে উগ্রবাদের সূচনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, যা আমাদের গণতান্ত্রিক পথকে বিঘ্নিত করতে পারে।"
আঁখি