
ছবি : জনকণ্ঠ
রাজনৈতিক চলমান ঘটনা প্রবাহতে উদ্বিগ্ন জনগণ।
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন টাওয়ারের ১৫ তলায় ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল, রাজনীতিতে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করছে কিনা বা কোন প্রভাব রাখার চেষ্টা করছে কিনা?
জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সেই বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্ধিহান। যেহেতু আমাদের সাথে যে আলোচনাটি হয়েছে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক, আমরা মনে করছি, সেটি রাজনৈতিক বিষয়ে হচ্ছে হস্তক্ষেপ করা। রাজনীতি রাজনীতিবিদরাই নির্ধারণ করবে। রাজনীতির ঘটনা প্রবাহ বা চলমান যা কিছুই, পরবর্তী রাজনীতি কোন দিকে যাবে সেটি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত।
তো সেই জায়গায় আমরা সন্ধিহান বলেই হচ্ছে, গতকাল আমার স্ট্যান্ড নিতে হয়েছে। আর যেটি বলেছেন যে, ৫ই আগস্টের পরে আমাদের ফরমাল-ইনফরমাল আমাদের সাথে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। আর ১১ তারিখের যেই মিটিংটি সেটির প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। সেখানে অপর প্রান্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে আমার স্ট্যাটাসেই আমি ডিসক্লোজ করেছি যে ঘটনা প্রবাহ। আমি আমার স্ট্যাটাসেই আমি ডিসক্লোজ করেছি। ওখানে সবকিছুই উপস্থাপন করা হয়েছে।
হাসনাতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি নিজেই গিয়েছিলেন নাকি আপনাকে ডেকে নেওয়া হয়েছে?
জবাবে হাসনাত বলেন, সেখানে বিষয়টি হচ্ছে যে, আমরা এই বিষয়ে আলোচনা, বিভিন্ন ল এন্ড অর্ডার আপনারা জানেন যে, বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ল এন্ড অর্ডার সিচুয়েশন নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তো এসব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য হচ্ছে আমাদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এবং কিছুদিন আগে আপনারা সেনাপ্রধানের একটা বক্তব্য দেখেছেন, যেই বক্তব্যকে আমি ব্যক্তিগতভাবে বা আমরা অনেকেই দেশের মধ্যে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। যে এটাকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অসমীচিন হিসেবেই ধরা হয়েছে। যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে যেভাবে এড্রেস করা হয়েছে, যেভাবে ইনক্লুসিভ যেই নির্বাচনের দিকে, নির্বাচনের ইঙ্গিত করা হয়েছে আওয়ামী লীগসহ, তো সার্বিক বিষয়ে যখন আলোচনার কথা বলা হয়েছে, তখন গিয়েছিলাম। তো ওই বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। আমার স্ট্যাটাসে সব বিষয় হচ্ছে একদম মানে স্ট্রেট ফরওয়ার্ড সেখানে হচ্ছে স্পষ্ট করা হয়েছে।
প্রশ্ন ছিল, আপনি কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করছেন কিনা!
জবাবে তিনি বলেন, দেখেন, ৫ই আগস্টের পূর্বে আমরা জনগণকে, ছাত্র-নাগরিককে সাথে নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী তখন একটা শক্তি ছিল, এজেন্সি ছিল, রাষ্ট্রপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। তো তখন আমাদের লড়াই তো আমরা বারবার বলছি। আমাদের লড়াই এখনো অব্যাহত রয়েছে। সুতরাং এই বিষয়গুলোকে আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-নাগরিক এবং এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি বা এসব আমি বোধ করছি না।
মো. মহিউদ্দিন