আওয়ামী লীগ বর্তমানে গণতন্ত্রের বাইরে অবস্থান করছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। এই মাফিয়া গোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরানোর যেকোন প্রচেষ্টাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) প্রতিহত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছে।
শুক্রবার রাত ৮ টার রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সম্পৃক্ত সকলকে মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ কোন গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক দল নয়। বরং এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। নির্বাচনের ভোটের মাধ্যমে তাদের পরাজয় ঘটেনি। দল হিসেবে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে। যা নজিরবিহীন ও ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। বর্তমানে গণতন্ত্রের ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে দলটি অবস্থান করছে। তাদেরকে যে কোন উপায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আলোচনা ও প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যখ্যান করে। আওয়ামী লীগ দল, মতাদর্শ ও মার্কার বিরুদ্ধে জনগণ তাদের রায় ৩৬ জুলাই জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল। আওয়ামী লীগের মানবাতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে এত সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক বক্তব্য থাকার পরও বিচারিক প্রক্রিয়ায় ধীরগতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এনসিপি অবিলম্বে জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমের সংগঠিত গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এক মন্তব্যে বলেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানায়। আওয়ামী লীগ কতৃক পিলখানা, শাপলা হত্যাকাণ্ড, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় ও বিদেশী শক্তি আওয়ামী লীগকে পূনর্বাসনের চেষ্টা করছে বলেও নাহিদ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল)হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।
আশিক
