
ছবি: সংগৃহীত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের "আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই"—এই বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন, যা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থানে দুই হাজারের অধিক শহীদ হয়েছেন, হাজার হাজার আহত মানুষ এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি সরকার বলে, গণহত্যাকারী একটি দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তবে এর চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। আমরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এবং সারা দেশের ছাত্রসমাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই—আমরা কখনোই এটি মেনে নেব না। যে বাংলায় আওয়ামী লীগ রক্ত ঝরিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে, সেই বাংলায় তারা রাজনীতি করতে পারবে না।”
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমাদের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের ভরসা আছে, কিন্তু তার আশেপাশে যারা রয়েছেন, তারা নানা বাধা সৃষ্টি করছেন, যাতে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারেন। আমরা জানি, প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এজেন্সি ও গোষ্ঠী তাকে চাপে ফেলছে। যদি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে আমরা কখনোই তা মেনে নেব না।”
তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনার বক্তব্যকে প্রত্যাহার করে নিন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত, গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।
সায়মা ইসলাম