
ছবি: সংগৃহীত
নূন্যতম সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কাছে দেয়া প্রস্তাবনার দলটি ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি বাদ দেয়ার পাশাপাশি আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থার প্রস্তাবনা দিয়েছে। আর ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি ডক্টর আলী রিয়াজ জানান নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করবে ঐক্যমত কমিশন।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য মোট ১১ টি কমিশন গঠন করে। অধিকাংশ কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর সরকার সব কমিশনের প্রধানদের নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে, যার প্রধান বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস। এই কমিশন সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত ও প্রস্তাবনা চেয়ে পাঠিয়েছে।
সোমবার প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত ইসলামী তাদের প্রস্তাবনা ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের কাছে পাঁচটি কমিশন সম্পর্কে জামায়াত ইসলামীর প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। পরে অধ্যাপক গোলাম পরোয়ার গণমাধ্যমকে জানান দিনক্ষণ বেঁধে নয় নূন্যতম সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন চায় তাদের দল। নিরপেক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থার পক্ষে ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিপক্ষে অবস্থান জামায়াতের। প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার ভারসাম্যার পক্ষেও।
গোলাম পরোয়ার বলেন, "আমরা আমাদের নির্বাচনের ব্যাপারে মেজর বড় কথা বলেছি যে এই নির্বাচনটা হতে হবে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন পিআর পদ্ধতি। মিনিমাম কিছু সংস্কার করার প্রয়োজন হয়। তার জন্য যৌক্তিক যে সময়টুকু দরকার জায়য়াতে ইসলামী সেই সময়টুকু দিতে প্রস্তুত। আল্লাহতালার উপরে অবিচল ঈমান এবং আস্থা এটাকে আমরা রাখার ব্যাপারে কথা বলেছি। ধর্মনিরপেক্ষতার যে ব্যাখ্যা এবং যে ব্যবহার এটা আমরা পছন্দ করি না।"
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=hOTj4hWUOgs
আবীর