ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

পাশ্চাত্য সভ্যতার অভিধানে প্রগতি আছে, নেই মজলুমের জন্য ইনসাফ: ড. মির্জা গালিব

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৪:১৭, ২০ মার্চ ২০২৫

পাশ্চাত্য সভ্যতার অভিধানে প্রগতি আছে, নেই মজলুমের জন্য ইনসাফ: ড. মির্জা গালিব

পবিত্র রমজান মাসে দখলদার ইসরাইলের গাজায় চালানো নির্বিচার হামলায় দুদিনে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত মঙ্গলবার থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

নৃশংস এই হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নির্লজ্জ নীরবতা ও প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকদের তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। 

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় এ লেখক বলেছেন, আফ্রিকার কালো মানুষদের দাস বানানোর যে লজ্জার ইতিহাস, সারা দুনিয়াজুড়ে উপনিবেশের মধ্য দিয়ে সম্পদ লুট করার যে কালো অতীত- পাশ্চাত্যের বর্তমান কি তার চাইতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে? প্রত্যেক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি, প্রত্যেক আধুনিক বোমায় ঝলসে যাওয়া শিশুর দেহ সাক্ষ্য দিবে এই পাশ্চাত্য সভ্যতা এখনো মানবিক হয়ে উঠতে পারেনি। এই সভ্যতার অভিধানে প্রগতি আছে কিন্তু মজলুমের জন্য ইনসাফ নাই।   

ওই পোস্টে মির্জা গালিব বলেছেন, আমাদের ছাত্রজীবনে আমরা ফিলিস্তিনের জন্য ঢাকার রাজপথে মিছিল করেছি। আজকে এতগুলো বছর পরে এসে আমেরিকার রাজপথেও আমাদের মিছিল করতে হয় ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, অকুপেশান নো মোর’। এই পাথরের সভ্যতা, যার উন্নতি আর অগ্রগতি পৃথিবী ছাড়ায়ে মহাকাশে চলে গেছে, অথচ মাটির পৃথিবীতে মানুষের ওপর হওয়া মানুষের অবিচারকে সে জুলুম বলে তার সমাপ্তি টানতে জানে না। কিছু মানুষের জীবন আর রক্ত, অন্য কিছু মানুষের আরাম-আয়েশের চাইতেও মূল্যহীন হয়ে আছে এই সভ্যতার কাছে। 

গাজা নিয়ে প্রভাবশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকদের তিরস্কার করে মির্জা গালিব বলেন, এখনও মানুষ হয়ে উঠে নাই সম্পদশালী সব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকরাও। তেল বিক্রি করা টাকায় আরাম আয়েশ করবে, ব্যবসা করবে, পাশ্চাত্যে বড় বড় ইনভেস্ট করে রাখবে, কিন্তু নিজের মজলুম ভাই-বোনদের অধিকারের জন্য কথা বলবে না, কাজ করবে না।     

সবশেষ তিনি বলেন, কিন্তু আল্লাহর নিয়মে সময় বদলায়। ফেরাউনদের শাসনে নির্যাতিত বনী ইসরাইলদের মধ্য থেকে মুক্তির নায়ক হয়ে একদিন একজন মূসা এসেছিলেন। একদিন ফিলিস্তিনের ভাগ্যও বদলাবে ইনশাআল্লাহ। ওয়া মাকারু, ওয়া মাকারুল্লাহ, ওআল্লাহু খাইরুল মাকিরীন।

×