
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তারা কিন্তু নানাভাবে বিভিন্ন দলের উপর নিপীড়ন চালিয়েছে। কোন একটা অপরাধ থেকে কাউকে আড়াল করা উচিত না, অব্যাহতি দেওয়া উচিত না।কখনোই অপরাধ থেকে কাউকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ভালো একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে রাজনীতি পরিস্থিতি জটিল করে তোলা না হয়। কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কিছু কারণ থাকে, কিছু পদ্ধতি থাকে, অনেক সময় মনোভাব থেকে কিছু রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যেমন আমরা ৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে আমরা এরশাদকে ক্ষমতার থেকে নামিয়েছি। তারপরে এমন দাবি উঠেছিল।
এবারে যখন অভ্যুত্থান হল, অভ্যুত্থানে যারা পরাজিত হয় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকে। তাদের অত্যাচারের স্মৃতিগুলো মানুষের মনে ধকধক করে জ্বলে কিংবা তাদের দুর্নীতি এবং দুঃশাসনের কারণে মানুষের মনোজগত এ খুব গেঁথে থাকে। কিন্তু যখন আমরা রাজনীতির কথা বলব তখন কিছু নিয়মের মধ্যে যেতে হবে। নিষিদ্ধ করবে কে? নির্বাচন কমিশন নাকি সরকার। সরকার নিষিদ্ধ করলে কি গ্রাউন্ডে নিষিদ্ধ করবে। অথবা এটা কি আদালত থেকে নিষিদ্ধ করা হবে? এ প্রশ্নগুলো আসতে পারে। আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছর কর্মকাণ্ড মানুষ যা প্রত্যক্ষ করেছে, একটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া, দুর্নীতি টাকা পাচার, বিরোধীদলের উপর নিপীড়ন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সুনির্দিষ্ট নিয়মে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, অনেকগুলো মামলা যথাযথভাবে করা হয়নি।আইনমন্ত্রীর নামে মামলা হওয়া উচিত কীভাবে সে আইনের কাস্টডিয়ান হয়ে আইন ভঙ্গ করে।
সাজিদ