ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

বিএনপির ইফতার মাহফিলে তারেক রহমান

উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ১৯ মার্চ ২০২৫

উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে

রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তারেক রহমান

রাজনীতিবিদদের মিলন মেলায় পরিণত হয় বিএনপির ইফতার মাহফিল। বুধবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সম্মানে এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। 
তারেক রহমান বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে। এতে দেশ ইমেজ সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, সরকারের ক’জন উপদেষ্টা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলছে। যদি জনগণের আকাক্সক্ষা উপেক্ষা করে গৌণ উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তাহলে দেশের জনগণের কাছে ভুল বার্তা যাবে।  
তারেক রহমান বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করাই হবে অন্যতম অগ্রাধিকার। অতীতে নির্বাচন না দেওয়ার কারণেই ফ্যাসিবাদী শক্তির বিদায় ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে,
সে জন্য একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন। তারেক রহমান বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা যদি বন্ধ করা না যায়, তবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই বাধাগ্রস্ত হবে এবং রাষ্ট্র আবারও স্বৈরশাসনের দিকে ধাবিত হতে পারে।
সরকারের কিছু উপদেষ্টা ও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ভিন্ন সুরে কথা বলার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, যদি জনগণের আকাক্সক্ষাকে উপেক্ষা করে গৌণ উদ্দেশ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে জনগণের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কৌশলগতভাবে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে অকারণ সময় ক্ষেপণের চেষ্টা হলে সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। তিনি বলেন, গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন-শোষণে দেশের শুধু শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এ সবকিছু ধ্বংস হয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘৃণার বিষবাষ্প, বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, ভাতৃত্বের বন্ধন।
তারেক রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্র ও সমাজের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ যদি বিনষ্ট করে দেওয়া যায়, তখনই সমাজব্যবস্থা অবক্ষয়, ভঙ্গুর, নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়ে ওঠে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা উগ্রবাদ আর চরমপন্থা বিকাশের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়। সম্প্রতি হঠাৎ করেই অতীতের মতো দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে মন্তব্য করে তারেক বলেন, ‘দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।

সরকার, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি কিংবা অন্য কোনো কাজে হয়ত বেশি মনোযোগী থাকার কারণে, আমাদের নারীরা নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে কিনা, এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন আছে।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, দেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চরিত্র সমুন্নত রাখতে চরমপন্থা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করার পাশাপাশি গণহত্যাকারী পলাতক মাফিয়া চক্রকে যে কোনো মূল্যে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী করাই হবে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির আগামী দিনের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাই-আগস্টে বীর জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে পলাতক মাফিয়া চক্রের পতনের পর সাত মাস পার হয়েছে। দীর্ঘ দেড় দশক মাফিয়া শাসন-শোষণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ মেরামতের জন্য সাত মাস হয়তো খুব বেশি সময় নয়।তবে আগামী দিনগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম কিংবা কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হলে জনমনে থাকা সকল সন্দেহ সংশয়ের অবসান ঘটত।
তারেক রহমান বলেন, শুধু একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যই মাফিয়া সরকারের পতন ঘটেনি, এ কথা যেমন সত্য। তার চেয়েও আরও চরম সত্য হয়ত একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন না করার জন্যই কিন্তু মাফিয়া সরকারের নির্মম পতন হয়েছিল। সুতরাং একটি নির্বাচনকে শুধুমাত্র কোনো একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়ার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করার অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যার যার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার সুযোগ পান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার গঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সর্বোপরি প্রতিটি সফল ও কার্যকর নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারের সঙ্গে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের চুক্তি নবায়িত হয়। রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের মালিকানার সম্পর্ক গভীরতর হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় সোচ্চার। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা, এমনকি দুয়েকটি রাজনৈতিক দলকেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে ইদানীং কিছুটা ভিন্ন স্বরে কথা বলতে শোনা যায়। আমরা মনে করি জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে অকারণ সময় ক্ষেপণের চেষ্টা হলে সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা এবং সরকারের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট সৃষ্টি হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রাপথ বিপদসংকুল হয়ে উঠতে বাধ্য। অপরদিকে এ ধরনের পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত পলাতক মাফিয়া চক্রের দোসরদের পুনরুত্থানের পথকেই সুগম করবে।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের অনেকের সঙ্গেই পরামর্শ করেই রাষ্ট্র রাজনীতি মেরামতের লক্ষ্যে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জনগণের সামনে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি উপস্থাপন করেছিল। ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে বিএনপি সারাদেশে বিভিন্ন স্তরের জনগণের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছে। তবে আমরা আগেও বলেছি আজও আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই যে, এই ৩১ দফাই চূড়ান্ত নয়।

এই ৩১ দফাতেও প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে। বিএনপিসহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল মনে করে সংস্কার ও নির্বাচন উভয়টি প্রয়োজন। সুতরাং সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনোই প্রয়োজন নেই।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করার উপায় শুধুমাত্র কেতাবি সংস্কারের ওপর নির্ভর করে না। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের গণতান্ত্রিক চর্চার ওপর। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করেন। সুতরাং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিকামী জনগণের বিচার বুদ্ধির ওপর আস্থাহীনতার প্রয়াস শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের একটি সরকারের মেয়াদ নির্দিষ্ট কিন্তু দেশের রাজনৈতিক নীতি কিংবা রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা দীর্ঘস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি। সুতরাং রাজনৈতিক পরিক্রমা প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং টেকসই কার্যকর রাখতে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন জনগণ এবার নিজেদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে প্রস্তুত।

সুতরাং জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও দুর্ভোগ কমানোর সব ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের ভোট জনগণের কাছে দিয়ে দায়বদ্ধ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে এটি গণতান্ত্রিক জনগণের প্রত্যাশা। 
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি আহ্বান, বীর জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাজারো শহীদের রক্তের রঞ্জিত রাজপথে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে এখনো। আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকি, স্বাধীনতাপ্রিয় গণতান্ত্রিক জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে, কোনো ষড়যন্ত্রই কোনো কাজে আসবে না ইনশাআল্লাহ।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশ পেলেও এখনো গণতন্ত্রের দিশা খুঁজে পাচ্ছি না। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই আমাদের মূল আকাক্সক্ষা। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার পরিষ্কার পথ পাচ্ছি না। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে সেখানে পৌঁছাতে দৃঢ় ঐক্য প্রয়োজন। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, দেশের মানুষ যা চায় সে লক্ষ্য সামনে রেখেই সামনে এগুতে হবে।

সংস্কার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রের দিশা খুঁজে পাচ্ছি না। তবে দ্রুত নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি, যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারণ করবে সংস্কার কী হবে কী হবে না।
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন খাতের সংস্কার প্রস্তাবগুলো ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে গেছে। আমি অনুরোধ করবো, এগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেওয়ার জন্য, যাতে সবাইকে নিয়ে সামনের পথ এগোতে পারি। ঐক্যের প্রতি জোর দিয়ে ফখরুল বলেন, এই মুহূর্তে ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো নিরসন করতে হবে।

বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে দলের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার বিকল্প নেই।  তাই দ্রুত নির্বাচনের কথা পরিষ্কারভাবে বলছি। কারণ, জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় গিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য থাকবে, কিন্তু দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কথা বলা যাবে, বসতে পারবে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিদায়ের মাধ্যমে। এখন রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন। কেননা রাজনৈতিক ঐক্যের অভাব হলে অরাজনৈতিক শক্তিগুলো সুযোগ সন্ধানী হয়ে উঠে।
নাহিদ বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোসররা নানান জায়গায় এখনো রয়ে গেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সিস্টেমকে বদলাতে হবে। যাদের হাতে নেতৃত্ব যাবে, তারা বিষয়টা দেখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। রাজনৈতিক ঐক্যের অভাবে বিভিন্ন প্রশাসনে যারা বসে আছে তারা সুযোগ নিয়ে ক্ষতি করবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি ঐক্যের জায়গা ধরে রেখে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বিএনপির ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর প্রমুখ।

×