ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

সরকারের অবস্থান স্পষ্ট মনে করছে না দলটি

নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকটে বিএনপি

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১৯ মার্চ ২০২৫

নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকটে বিএনপি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের তরফ থেকে একেক সময় একেক রকম কথা বলায় নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে বিএনপিতে সরকারের প্রতি আস্থার সংকট রয়েছে।

তাই বিএনপির সিনিয়র নেতারা ধারাবাহিকভাবে দ্রুত নির্বাচনের কথা বলছেন। সেইসঙ্গে তারা পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। সংসদ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট টাইম লাইনের অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। তাই সংস্কারের জন্য কালক্ষেপণ মেনে নেবে না দলটি। 
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৩ দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। সবার আগে এ সরকারকে স্বাগত জানায় বিএনপি। এখনো এ সরকারের প্রতি আস্থা থাকার কথা বললেও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের টাইম লাইন না দেওয়ায় আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে দ্রুত নির্বাচনের টাইম লাইন ঘোষণা করা হলে এ সংকট থাকবে না বলে দলটির নেতাকর্মীরা জানান। 
সূত্র মতে, বিএনপি চায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কিছু সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের পর বিজয়ী হলে তারা আগের দেওয়া ৩১ দফা প্রস্তাবের আলোকে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সংস্কার চায়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছেও এ বিষয়টি তুলে ধরবে বিএনপি। 
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।  প্রায় দেড়যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকভাবে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলছেন।

প্রথমে জুনে, পরে আগস্টে নির্বাচনের কথা বললেও এই দলটি বর্তমানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে অলিখিত আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে তারা রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। বিএনপির সমমনা দলগুলোও এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। 
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন কমিশনকেও ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে চাপ প্রয়োগ করছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন বলছে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ পেলে তারা ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সময় দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচনের একেক রকম সময়সীমা  উল্লেখ করায় এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয় বলে সূত্র জানায়। 
বিএনপি মনে করছে, বিভিন্ন মহলের স্বার্থ রক্ষা করতেই  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে একেক সময় একেক রকম কথা বলছে। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দ্রুত নির্বাচন চায় না বলেই সরকারও নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাচ্ছে বলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন। 
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, এ বছর (২০২৫) ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সর্বশেষ ১৮ মার্চ যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কম সংস্কার চায় তাহলে এ বছর ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে। আর বেশি সংস্কার চাইলে আরও কয়েক মাস বেশি সময় লাগতে পারে।

আগের দিন ১৭ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে করা এ বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসিছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই তা করে ফেলতে হবে আমাদের। এর তিনদিন আগে তিনি বলেন, নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জুনে হতে পারে। তবে বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সংস্কারের ওপর।

আবার জামায়তে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি বলছে, সংস্কারের পর নির্বাচন। আর বিএনপি বলছে, শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে বাকি সংস্কার নির্বাচনের পর করতে। এ পরিস্থিতিতে সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য হবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আর এমনটি হলে অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো ডিসেম্বরে নির্বাচন নাও দিতে পারে। এমন সন্দেহ থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা সংকট দেখা দিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সংসদ নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে মানুষের মনে সন্দেহ ও সংশয় তত বাড়বে। আর যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা নির্বাচনের আগে করতে গেলে বেশ ক’বছর সময় লেগে যাবে। তাই দেশ ভয়াবহ সংকটের কবলে পড়বে। তাই বিএনপি চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। নির্বাচনের পর বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে রাষ্ট্র সংস্কার করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। জনগণের অধিকার বলতে আমরা ভোটের অধিকারকে বুঝি। তাই এ সরকারকে অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণই সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। আর দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন। 
বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী জানান, গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই ঠিক করবেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কি কি সংস্কার হবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কারণ দেশের চলমান সংকট নিরসন করতে হলে নির্বাচিত সরকার জরুরি। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে সমস্যা কোথায়? নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনমনে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে আস্থার সংকট দেখা দেবে। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির আরেক নেতা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন সাত মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে এ সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট। তাই এ নির্বাচন কখন হবে এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা সংকট দেখা দিচ্ছে। যারা গত ৩টি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি তারা চায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট টাইম লাইন ঘোষণা করা হোক। তারা ভোটের জন্য আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছে।  
প্রসঙ্গত: অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি চাচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা হওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে সকল সংস্কার কাজ শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক। এ জন্য তারা নিজস্ব কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে।  
সম্প্রতি একটি বিদেশি প্রভাবশালী গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকালে এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের আগে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো জরুরি। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন করা কঠিন হতে পারে। তাই ঐকমত্য হওয়ার জন্য সময় বেশি লাগলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে যা যা প্রস্তুতি প্রয়োজন একে একে সবই করা হচ্ছে। জুনের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে। আর অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নির্বাচন না হয় তাহলে ২০২৬ সালের অক্টোবরের আগে নির্বাচন করার সুযোগ কম। এর কারণ, ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরু। এর পর কোরবানীর ঈদ। আর  জুনে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা। এ সময় ঝড়-বাদলের সময়ও। তাই অক্টোবরের আগে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান এখন সুদৃঢ়। তাই দ্রুত নির্বাচন  হলে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ জন্যই দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন, সংসদ নির্বাচন না হলে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। আর জনগণের সরকার না হলে অনেক সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান হবে না।

তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের জন্য চাপে রাখতে চায় বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে তাদের সমমনা বেশ ক’টি রাজনৈতিক দলও দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। এ জন্য তারাও নির্বাচনমুখী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। তাদের মতে, গত ৩টি জাতীয় নির্বাচনে দেশের সিংহভাগ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট হলে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোকে দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে ভোট দেবে। 
১৯ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে এ পর্যন্ত এসেছে বিএনপি। বর্তমানে বিএনপির চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসাধীন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দীর্ঘদিন লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে তিনি লন্ডনে থাকলেও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে ও দিক নির্দেশনা দিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় এগিয়ে এলে তিনিও তাঁর মাকে নিয়ে দেশে ফিরে আসবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এদিকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নির্বাচনী কৌশল ভিন্ন। বিএনপি চাচ্ছে যত দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে তাদের জন্য ততই মঙ্গল। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে শুধু নির্বাচনী সংস্কার ছাড়া অন্য কোনো সংস্কারও তারা চায় না। এমনকি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তারা চায় না। 
জামায়াত চায় প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হোক। কারণ, স্থানীয় সরকার কার্যকর না থাকায় জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সক্ষমতা প্রমাণিত হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কোনো কিছু ঘাটতি মনে হলে তা পূরণ করে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। 
জাতীয় নাগরিক কমিটি চায় রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে। তাদের যুক্তি একবার নির্বাচন হয়ে গেলে নতুন রাজনৈতিক সরকার আর সংস্কারে জোর দেবে না। তাই সংবিধান সংস্কারসহ যাবতীয় সংস্কার কাজ আগেই সেরে নিতে চায় তারা। এ জন্য তারা গণপরিষদ নির্বাচন চায়। 
এদিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও এনসিপির মতপার্থক্য হওয়ায় এ নিয়ে কিছুটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই বিএনপি নেতারা এখন জামায়াত ও এনসিপির সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন। আবার বিএনপি সম্পর্কেও জামায়াত ও এনসিপি মাঝেমধ্যে সমালোচনা করতে ছাড়ছে না। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞ মহল।

×