
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো পুরনো শাসন আমলের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা, দেশে স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং একটি গণপরিষদ গঠন করা। তাই নির্বাচন এখন এনসিপির তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়। আমরা বর্তমানে নির্বাচনের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করছি না।"
তিনি জানান, আওয়ামী লীগের নির্বাচন বয়কট করার পক্ষে এনসিপি এবং তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো দলের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা।
গত ১৭ মার্চ 'দ্যা ডিপ্লোমেট' পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা চাই যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করুক। প্রথমত, দলটির ভেতরে যারা অন্যায়ের জন্য দায়ী, তাদের বিচার হতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "একটি সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন সেটি দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময় ছিল। আমাদের জন্যও এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি পদত্যাগ করে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরেছি, এবং এখন আমি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পথচলা গঠন করতে চাই।"
তিনি এনসিপির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, "এনসিপি একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল এবং আমরা এই আদর্শ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো নতুন কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে তরুণ এবং সব সামাজিক শ্রেণীর ব্যক্তিদের জন্য একটি স্থান তৈরি করা, যারা বছরের পর বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি থেকে বাদ পড়ে গেছেন।"
এছাড়াও, জামায়াত ইসলামী প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, "এনসিপি এবং জামায়াত ইসলামী দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক দল। আমাদের এজেন্ডাও আলাদা। যদিও কিছু দাবিতে মিল থাকতে পারে, যেমন সাংবিধানিক সংস্কার এবং গণপরিষদ গঠন, তবে আমাদের আদর্শিক অবস্থান ভিন্ন এবং উগ্রবাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।"
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/ejGsjaJleqg?si=iYHLhWP-_IxgUAHM
এম.কে.