ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

জামায়াতের বিরুদ্ধে বললেই শাহাবাগী! যা বললেন শফিকুল ইসলাম মাসুদ

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ মার্চ ২০২৫

জামায়াতের বিরুদ্ধে বললেই শাহাবাগী!  যা বললেন শফিকুল ইসলাম মাসুদ

ছবি:সংগৃহীত

ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি, সম্প্রতি অনলাইন সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

 

তিনি অনলাইন জগতের স্বাধীনতা এবং এর চ্যালেঞ্জগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, "অনলাইন দুনিয়াটা একটা মুক্ত জায়গা। এখানে কে কী করছে, তা এখন আমরা কিছুদিন ধরে ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে বের করতে পারছি। এটি আমাদের জন্য একটি সুবিধা তৈরি করেছে।"

তিনি আরও যোগ করেন, "তবে এটাও ঠিক যে আজকে আপনাকে শাহবাগী বা আমাকে শাহবাগী, আরেকজনকে হেফাজতি বা জামায়াত-শিবির-রাজাকার বলা হচ্ছে। শাহবাগের ঘটনা ঘটেছে, তারপরও নতুন করে ইন্ধন নিয়ে তারা আবার মাঠে নেমেছে। পুলিশের উপর হামলার প্রক্রিয়া আমরা চোখের সামনে দেখেছি। কিন্তু যারা এই হামলার পেছনে দায়ী, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।"

 

ড. মাসুদ ঢালাওভাবে রাজনৈতিক ট্যাগিংয়ের বিরোধিতা করে বলেন, "ঢালাওভাবে কাউকে রাজাকার বা শাহবাগী বলা উচিত নয়। এটা আমরা সমর্থন করি না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয়ভাবে এবং মহানগরী পর্যায়ে এই বিষয়ে নীতিমালা ঠিক করে দিয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের স্পষ্টভাবে বলেছি, তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে: প্রথমত, আক্রমণাত্মক কমেন্ট করা যাবে না; দ্বিতীয়ত, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না; এবং তৃতীয়ত, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখতে হবে।"

 

 

তিনি আরও বলেন, "এই নতুন ইতিবাচক সংস্কৃতির জন্য আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু আমি বা আমরা নিলে হবে না। বিগত ১৫ বছরে আমরা যে অবস্থানে ছিলাম, সেখান থেকে হঠাৎ করে পরিবর্তন আসবে, তা ভাবার কারণ নেই। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ অনলাইনে কিভাবে মানুষকে আক্রমণ করে, তা দেখিয়ে দিয়েছে। সেই প্রবণতা থেকে আমরা যেন প্রভাবিত না হই, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।"

 

ড. মাসুদ গঠনমূলক সমালোচনা এবং শিষ্টাচার বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, "আমরা আশা করি, সবাই গঠনমূলক সমালোচনায় উদ্বুদ্ধ হবেন। আওয়ামী লীগের নেতিবাচক প্রবণতা থেকে যেন কেউ প্রভাবিত না হয়, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।"

তিনি শেষে বলেন, "আমরা আশাবাদী যে, এই নতুন সংস্কৃতি আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং রাজনৈতিক বিতর্কে শালীনতা ও পরিপক্কতা ফিরে আসবে।"

আঁখি

×