
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘর্ষের অভিযোগে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ‘জুলাই বিপ্লব’-এর অন্যতম সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
সাদিক কায়েম বহিষ্কারাদেশকে ‘তামাশার সমতুল্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, আন্দোলনে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হয়নি, বরং সীমিতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি লিখেছেন, গত ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘তুমি কে আমি কে—রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছিল। পরদিন ১৫ জুলাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বুয়েট, সাত কলেজ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
সাদিক কায়েমের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচির শেষের দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পৈশাচিক’ হামলা চালায়। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরস্ত্র ভাই-বোনদের নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে। বোনদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, সেদিন রেজিস্ট্রার ভবনে কিছু শিক্ষার্থী আটকা পড়লে তাদের দ্রুত উদ্ধার করা হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য তিনি ও তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মোহিউদ্দিন খান ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান। তবে সেখানেও ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বহিষ্কারাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যেক হামলাকারীকে চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে প্রমাণসহ হস্তান্তর করেছি, যার সংখ্যা প্রায় পাঁচশত। তবে প্রকৃত অপরাধীদের সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। অথচ মাত্র ১২৮ জনের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা পার পেয়ে গেছেন, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রশাসনকে স্বল্পসময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এম.কে.