
ছবি: সংগৃহীত
প্রশাসনে তদবিরের সংস্কৃতি নির্দিষ্ট দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও উপদেষ্টাদের ফোন দিয়ে তদবির করে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, “আমরা দেখি, মন্ত্রীরা এবং উপদেষ্টারা একটা বড় সময় তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমরাও কখনো কখনো তদবির করতে বাধ্য হই। কারণ, যখন কেউ আমাদের কাছে আসে এবং বলে যে সে বঞ্চিত হয়েছে বা চাকরিতে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছে, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবেই তার জন্য সুপারিশ করি।”
মঞ্জু আরও বলেন, “আমি বিএনপির, জামায়াতের এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকে সুপারিশ করতে দেখেছি। আমরাও উপদেষ্টাদের কাছে কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে ফোন করি। কারণ, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাটাই এমন হয়ে গেছে যে, কোনো ব্যক্তি তার প্রাপ্য কিছু পেলেও সেটার জন্য তাকে তদবির করতে হয়। এই রাষ্ট্র কাঠামো এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে, কোনো যৌক্তিক কাজও সুপারিশ ছাড়া হয় না।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের সমাজে এমন একটা ব্যবস্থা চালু আছে যেখানে সুপারিশ ছাড়া কিছু হয় না। উপদেষ্টারা কিংবা প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিত তদবির গ্রহণ করেন। হয়তো ১০টি সুপারিশের মধ্যে পাঁচটি তাদের নিজস্ব, আর বাকি তিনটি অন্য দল থেকেও আসতে পারে। অর্থাৎ, তদবিরের এই সংস্কৃতি সর্বত্র বিদ্যমান।”
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা চাই এই তদবিরের সংস্কৃতি ভাঙতে। তবে নতুন বন্দোবস্ত তৈরির ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি রয়েছে। আমরা এটাও দেখছি, নতুন দলগুলোও পুরনো পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করছে। যেমন, আমরা একসময় রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করতাম, এখন এনসিপিও একই কাজ করছে। তাহলে পরিবর্তন কোথায়?”
মঞ্জুর মতে, প্রশাসনিক সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বন্দোবস্তে আমূল পরিবর্তন আনার দাবি উঠলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ এখনও দেখা যাচ্ছে না।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/GdV_KQpSA4o?si=gsQvfkRi9IYtP3wf
এম.কে.