
ছবি:সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, জাতিসংঘের ভূমিকা এবং রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি এবং বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে তাদের সম্পর্কের সমালোচনা করেন।
ফুয়াদ বলেন, "জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস, বিশেষ করে ইউএনডিপি, আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছে। শেখ রেহানার ছেলে ববি, যিনি ইউএনডিপির গভর্নেন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছেন, তিনি একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমকে সমর্থন করছেন। এটি জাতিসংঘের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়ার সাথে সাংঘর্ষিক।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জাতিসংঘের বিভিন্ন পদে আওয়ামী লীগের প্রভাব রয়েছে। পুতুল , যার এই ধরনের কাজের কোনো যোগ্যতা নেই, টাকা-পয়সা ও লবিংয়ের মাধ্যমে এই পদ পেয়েছেন। এটি জাতিসংঘের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"
তিনি জাতিসংঘের কিছু সমালোচনা করে বলেন, "যারা দিল্লির চোখ দিয়ে বাংলাদেশকে দেখেন, তাদের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। জাতিসংঘের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বচ্ছ ও সম্মানজনক হওয়া উচিত।"
জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বৈঠকে ফুয়াদ তিনটি মূল বিষয়ে আলোচনা করেছেন:
১.গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতিসংঘের সমর্থন: তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ও জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান, যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
২. মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট: জাতিসংঘের ১১৪ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের চিত্র উঠে এসেছে। তিনি এই রিপোর্টের জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানান।
৩. রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
ফুয়াদ বলেন, "বাংলাদেশের ট্রানজিশন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। আমরা চাই, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বাংলাদেশে দুই থেকে তিন বছরের জন্য একটি অস্থায়ী অফিস খুলে বিচার ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া তদারকি করুক। এছাড়াও, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কারেও জাতিসংঘের সহায়তা প্রয়োজন।"
আঁখি