
ছবি : সংগৃহীত
ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নাহিদ ইসলাম অবশেষে মুখ খুললেন। তিনি দাবি করেছেন, সরকার তাকে আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে আন্দোলনের নেপথ্যে কাজ করছিলেন আসিফ মাহমুদ, বাকের ও রিফাতরা।
নাহিদের দাবি, আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘জুলাই: মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ নামে বই লিখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘প্রথমা’ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমি ইচ্ছা করেই অনেক ইনফরমেশন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতাম। আসিফ, বাকের আর রিফাত বা ওদের পর্যায়ে থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করতো এবং পলিটিক্যাল কমিউনিকেশনগুলো পরিচালনা করতো। আমি জানতামও না কার সঙ্গে কখন কী কথা হয়েছে। আমি ইচ্ছা করেই এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখতাম, কারণ সব ইনফরমেশন আমার কাছে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।”
নাহিদ আরও বলেন, “যেহেতু আমি ছাত্রশক্তির সেক্রেটারি এবং আন্দোলনের মুখ ছিলাম, তাই সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাকে টার্গেট করেছিল। তারা ভেবেছিল আমাকে ধরতে পারলেই আন্দোলনের পেছনের সমস্ত তথ্য বের করা যাবে।”
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করে এবং তার মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইস বিশ্লেষণ করে। কিন্তু তারা হতাশ হয়, কারণ নাহিদের কাছে আন্দোলন সংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্য ছিল না।
নাহিদ বলেন, “সরকার মনে করেছিল আমি সব কিছু করছি। কিন্তু বাস্তবে ঘটনা ঘটাইছিল আসিফ মাহমুদরা। আমি শুধু আন্দোলনের ফেস ছিলাম। তারা যখন আমাকে ধরে নিয়ে গেল, তারা সত্যিই হতাশ হয়েছিল কারণ আমি আসলেই জানতাম না কে কার সঙ্গে কথা বলেছে। এমনকি বিএনপি বা ছাত্রদলের কারও সঙ্গেও আমার যোগাযোগ ছিল না।”
তিনি আরও জানান, “পরে তারা আসিফকেও তুলে নেয়। কিন্তু প্রথমে আমাকে টার্গেট করেছিল, কারণ আন্দোলনের সামনের সারিতে আমি ছিলাম। তবে প্রকৃত ঘটনা হচ্ছিল পেছনে আসিফ, বাকের এবং রিফাতরাই সবকিছু চালাচ্ছিল।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=520hb8nalcw
মো. মহিউদ্দিন