ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি

এনআইডি রাখাসহ  একগুচ্ছ প্রস্তাব ইসির

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৮ মার্চ ২০২৫

এনআইডি রাখাসহ  একগুচ্ছ প্রস্তাব ইসির

এনআইডি রাখাসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব

এনআইডি রাখাসহ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির পক্ষ থেকে লিখিত এক চিঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে দেওয়া হয়েছে সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের জানান। 
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৭-৮টির মতো সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে এটির প্রয়োজন নেই।
আখতার আহমেদ বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনরায় নির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে সেটি হলে শহর অঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। এখানে ইসি মনে করে, ভোটার সংখ্যা, জনসংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখ-তা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনরায় নির্ধারণ করা উচিত।
আখতার আহমেদ বলেন, ভোটের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাই করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এটির প্রয়োজন নেই। কারণ ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয় সেটিই সার্টিফিকেশন। নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তাতেও ভিন্নমত রয়েছে।
আখতার আহমেদ বলেন, ভোটের পর তদন্ত করে দায়ী হলে কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ইসি থেকে বলা হয়েছে এজন্য একটি ব্যবস্থা এখনই সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল হিসেবে রয়েছে। যদি নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ বছর বা দশ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের আদালতে দৌড়াতে হয় এটি কি যৌক্তিক হবে? নির্বাচনে জয়ী হবেন একজন, বাকিরা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোনো অভিযোগই করতে পারেন। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত বলেও কমিশন মত দিয়েছে। 
ইসি সচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কাছে দেওয়া  চিঠিতে মতামত দেওয়ার কারণ হচ্ছে ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। ক্ষমতা খর্ব না হলে তো পাঠাতাম না। ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলেই আপত্তি জানানোর পাশাপাশি নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে ইসি। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশ করার সুযোগ আছে, সেখানে মতামত দিয়েছি। এনআইডির বিষয়ে আমাদের অভিমত হলো, এনআইডি আমাদের এখানে থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, ২০০৭ সাল থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং স্কিলড করা হয়েছে। তাহলে এটা কেন নেওয়া হবে? বরং এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরট কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে। আমরা এখন ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিচ্ছি, সার্ভিসের উপযোগিতা আছে বলেই তো দেওয়া হচ্ছে।
ভোটার ও নির্বাচনী আসন বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, গ্রাম শূন্য হয়ে মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন, শহরে আসছেন। এজন্য শহরমুখী হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। এটা না করে জনসংখ্যা ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক অখ-তা বিবেচনায় আসন করা উচিত।

×