ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

ছেলেকে দেখার আকুতি জানিয়ে কাঠগড়ায় কাঁদলেন শাজাহান খান

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৭ মার্চ ২০২৫

ছেলেকে দেখার আকুতি জানিয়ে কাঠগড়ায় কাঁদলেন শাজাহান খান

ছবি : সংগৃহীত

বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের কথা বলতে গিয়ে কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে আমার পাঁচ মাস দেখা নেই। আমার প্রশ্ন, আমার ছেলে কি করেছে?

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত পাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাহজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা নেই জানিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।

রিমান্ড শুনানিকালে শাহজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমাকে একটু সময় দেন কথা বলার। আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন শাহজাহান খান। তিনি বলেন, পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করেছে। সে অর্ডার তো দিতে পারে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গুলি চালানোর অর্ডার তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত না। কেন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হলো। শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে হাসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।

তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন, আমার ছেলে কি করেছে। আমি ঢাকায় থাকাকালে ছেলে মাদারীপুর ছিল। আপনি এখনই চেক করতে পারেন।

আর সিরাজুল ইসলামকে তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছে। তবুও শাহজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান।

তিনি বলেন, একটু সময় দেন। ওনারা ভালোভাবে বিষয়টা বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান ছয়টা হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দিয়েছে। পরে আদালত তার চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন শাহজাহান খান।

পরে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পড়িয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। নামার সময় তিনি বলেন, পুলিশ বলেছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারাজীবন কথা বলে এসেছি। কথা বলেই যাব। পরে হাসতে হাসতে তিনি হেঁটে হাজতখানায় যান।

মো. মহিউদ্দিন

×