
ছবি:সংগৃহীত
নুরুল হক নুর, গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)-এর সভাপতি এবং ছাত্র, যুব ও প্রবাসী অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে বলেন, "আমার মনে হয়, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার নিয়ে মোটামুটি একটি বোঝাপড়া রয়েছে।
তবে এখন এখানে কিছু ফাঁকা জায়গা আছে। কেন্দ্রীয় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রনেতাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে কিছু দূরত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেমন—অনেকে সেকেন্ড রিপাবলিকের কথা বলছেন, গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছেন। সাধারণত গণপরিষদ নির্বাচন হয় একটি সদ্য স্বাধীন দেশে, যেখানে সংবিধান সংস্কার বা নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেকেন্ড রিপাবলিক বলতে ছাত্ররা ঠিক কী বুঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়।"
তিনি আরও যোগ করেন, "পুরনো রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতাই তো গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সংবিধান বাতিল হয়েছে কীভাবে? বর্তমান সরকার তো সংবিধানের মাধ্যমেই শপথ নিয়েছে। কাজেই সংবিধানের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে, এবং সংবিধানকে মেনেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। ছাত্ররা যদি শুরু থেকেই বলতেন যে, 'আমরা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নেব না, আমরা একটি বৈপ্লবিক সরকার গঠন করব এবং এই সংবিধানকে আজই বাতিল করে সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণা করব,' তাহলে একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি হতো। কিন্তু তারা সে পথে না গিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনজন প্রতিনিধি দায়িত্ব নিয়েছেন, এবং এখন কয়েক মাস পর তাদের মনে হচ্ছে যে, যদি তারা অন্য পথে যান, তাহলে আরও কিছু সময় পাবেন এবং তাদের দলকে সংগঠিত করতে পারবেন। এখন তারা যা উপলব্ধি করছেন, তাই মিডিয়ায় বলছেন, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করছে।"
নুরুল হক নুরের এই বক্তব্য রাজনৈতিক সংকট ও সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে চলমান বিতর্কের একটি দিক তুলে ধরে। তিনি ছাত্রনেতাদের কৌশল এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
আঁখি