ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা আনতে হবে।
রোববার (১৬ মার্চ) প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, উই আর কমিটেড টু রিফর্ম, আমরা সংস্কারের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পার্লামেন্টে আসবেন, পার্লামেন্টে এসে তারা একদিকে দেশ পরিচালনা করবেন, অন্যদিকে তারা অন্য যে বাকি সংস্কার গুলো রয়েছে, যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং যেটা করা প্রয়োজন, সেটা আমরা সবাই মিলে একসাথে করতে পারবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের যে শক্তি, সেই শক্তিকে পরাজিত করবার জন্য, এর বিরুদ্ধ শক্তি অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট শক্তিরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। একটা ভয়াবহ, একটা দানবীয় একটা পরিবেশ থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেইখানে আমাদেরকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা একটু বিচলিত হয়ে পড়ি, আবার সেই দেখা যাচ্ছে যে, হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ, এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে, যে জায়গাগুলো আমাদের সকলকে অত্যন্ত পীড়িত করছে।
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে আমরা দেখছি যে, ইয়াং জেনারেশন বিশেষ করে ছাত্ররা, তারা অসহিংস হয়ে উঠছে। আবার দেখছি আপনার যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলো আছে, অর্গানাইজেশন আছে, তাদের কর্মীরা, তারাও তাদের দাবি দেওয়া নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। আমার মনে হয় যে, এটা আমাদের সকলের এ ব্যাপারে অত্যন্ত আপনার একটু ধৈর্য ধরা প্রয়োজন আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাই আমরা যেটা, যে সরকার, ড. ইউনূসের সরকার, আমরা সবাই মিলেই তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা যেটা বারবার করে বলছি, অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সমস্ত সংস্কার গুলো প্রয়োজন, সেই সংস্কার গুলো করে দ্রুত একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে যাবেন। কারণ আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি অতীত অভিজ্ঞতা থেকে, যে যত দেরি হবে, তত বেশি আবার এই বাংলাদেশের পক্ষের যে শক্তি, সেই শক্তিকে পরাজিত করবার জন্য এর বিরুদ্ধ শক্তি অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট শক্তিরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।
তিনি বলেন, এবং তারা শুধু নয়, একই সঙ্গে আপনার যারা জঙ্গি বা মনোভাব নিয়ে থাকেন, যারা উগ্র মনোভাব নিয়ে থাকেন, তারাও কিন্তু একই সঙ্গে এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আর তাই আমরা মনে করি যে, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, যত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পার্লামেন্টে আসবেন, পার্লামেন্টে এসে তারা একদিকে দেশ পরিচালনা করবেন, অন্যদিকে তারা অন্য যে বাকি সংস্কার গুলো রয়েছে, যেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং যেটা করা প্রয়োজন, সেটা আমরা সবাই মিলে একসাথে করতে পারবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি, উই আর কমিটেড টু রিফর্ম। আমরা সংস্কারের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা দাবি দুই বছর আগে দিয়েছি। যখন এই সংস্কারের কথা কেউ ভাবেনি এবং সেই সংস্কার গুলোর সঙ্গে আজকে যে প্রস্তাবগুলো উঠে আসছে, সেই প্রস্তাবগুলোর খুব একটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। সেজন্য মনে করি যে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশে একটা স্টেবিলিটি, স্থিতিশীলতা রক্ষা করার ব্যবস্থা করা।
মো. মহিউদ্দিন
