ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

সংস্কারের আবার স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি কী?, প্রশ্ন রিজভীর

প্রকাশিত: ২১:২২, ১৫ মার্চ ২০২৫

সংস্কারের আবার স্বল্পমেয়াদি-দীর্ঘমেয়াদি কী?, প্রশ্ন রিজভীর

ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই কথাটি আসছে কেন, যে আজকে স্বল্পমেয়াদী সংস্কার হলে ডিসেম্বর, আর দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার হলে এইটা জুন। স্বল্পমেয়াদী কি, দীর্ঘমেয়াদী কি, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। সেই ভোটারদেরকে বঞ্চিত করার আবার কোন নীল নকশা হচ্ছে কিনা, এই ধরনের শঙ্কা, এই ধরনের আশঙ্কা, মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।

রিজভী বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো কেন গড়িমশি, এনি যে কথাটি বলেছে বা বকুল বলেছে, যে আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো কেন গড়িমশি, কদিন আগে না নিশ্চিত করে বললেন, যে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আরো অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন সরকারের, আবার আজকে খবরের কাগজে পড়লাম, এটা জুনেও হতে পারে। সেখানে বলেছেন, যে যদি স্বল্পমেয়াদী সংস্কার চান তাহলে ডিসেম্বরে, আর যদি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার চান তাহলে জুনে, এই কথাগুলো আপনার বলে সরকারের পক্ষ থেকে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে কেন, এটা আজকে জনগণের জিজ্ঞাসা।

বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, স্বল্পমেয়াদী কি, দীর্ঘমেয়াদী কি, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। আজকে আপনি যেটি সংস্কার করছেন, সেটি ৫০ বছর পর সেটি আবার সংস্কার হতে পারে, ২০ বছর পর আবার সেটি বাতিল হতে পারে, নতুন সংস্কার আসতে পারে। তাহলে এই কথাটি আসছে কেন, যে আজকে সংস্কার হলে ডিসেম্বর, আর দীর্ঘমেয়াদী সংস্কার হলে এইটা জুন।

তিনি বলেন, এই কথাগুলোর মধ্যে দিয়ে দিয়েও একটা ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। মানুষ মনে করছে, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটা তামাশা তৈরি হচ্ছে কিনা। এইটা আজকে ১৬ বছর ধরে যে ভোটার, ভোটাররা, সেই ভোটারদেরকে বঞ্চিত করার আবার কোন নীল নকশা হচ্ছে কিনা, এই ধরনের শঙ্কা, এই ধরনের আশঙ্কা, মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।

রিজভী বলেন,  আপনার ইউরোপের ‘উইচ হান্টিং’ বলে একটি কথা ছিল, ডাইনি শিকার। এটা আইন করে করা হয়েছিল। ডাইনি শিকার, কিছু মেয়েদেরকে ডাইনি বলে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো, অত্যন্ত অমানবিক একটি প্রথা। ১৭৩৫ সালে সেটি রদ করা হলো। সুতরাং আজকের সংস্কার যেটি, এটি চিরস্থায়ী, এমন কোন কথা নেই। এটি ৪০ বছর পর, এটি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। আবার নতুন কোন সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। তাই এটা প্রবাহমান, এটা চলমান।

তিনি আরো বলেন, সেখানে স্বল্পমেয়াদী, দীর্ঘমেয়াদী, আপনি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের কথা বললেন, কিন্তু এটাই নিয়ে আপনার চূড়ান্ত, তা তো নয়। সুতরাং এইসব কথা বলে জনমনে কোন ধোঁয়াশা তৈরি যদি সরকার করেন, তাহলে সরকারের প্রতি মানুষ একটা বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হবে। এইটা তারা দয়া করে করবেন না। কারণ এই অন্তর্বর্তী সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন তো রয়েছে, তাদের কাছে জনগণ এটা প্রত্যাশা করে। 

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Kp_rxbTegQI

মো. মহিউদ্দিন

×