
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জাতিসংঘ (ইউএন) সেক্রেটারি, সংস্কার কমিশনের প্রধান, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মূলত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্রের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
সংস্কার কমিশনের প্রধানরা তাদের কার্যক্রম ও পরিকল্পনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ দলের সংস্কার বিষয়ক অবস্থানও তুলে ধরেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বৈঠকে বলেন, "গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার সংস্কার ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফলে, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়েই তৈরি করতে হবে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, "সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে, যা সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি হিসেবে কাজ করবে। সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে আমাদের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট—গণপরিষদের মাধ্যমেই এটি হতে হবে, অন্যথায় পার্লামেন্টের মাধ্যমে করা সংস্কার টেকসই হবে না, যা বাংলাদেশের ইতিহাসেও স্পষ্ট।"
বৈঠকে জাতিসংঘ সেক্রেটারি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলো মাথায় রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা জরুরি, যাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।"
আবীর