ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

আওয়ামী লীগের বিচারহীনতার সংস্কৃতির রেশ ধরে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে: রিজভী

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২২:১৬, ১৪ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগের বিচারহীনতার সংস্কৃতির রেশ ধরে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিচারহীনতার সংস্কৃতির কঠোর সমালোচনা করেন।তিনি বলেন,"বিগত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিচারহীনতার সংস্কৃতির রেশ ধরে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ এখনো অব্যাহত রয়েছে।"

রিজভী আরো বলেন,"গোটা দেশকে নিজের হাতের মুঠোয় নিতে শেখ হাসিনা কোন আইনের শাসন, ন্যায়বিচার কোন কিছুর তোয়াক্কা করেননি। এক ভয়ঙ্কর একদলীয় দুঃশাসনের মধ্যে দিয়ে, এক দানবীয় দুঃশাসন তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা।"

তিনি  বলেন, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির রেশে আজও নারী ও শিশু নির্যাতনকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।" সেই রেশ ধরেই চলছে এখনো নারী শিশু নির্যাতন কারীরা যেন ওপতে বসে আছে। সেই রেশটা এখনো সম্পূর্ণ কাটিয়ে ওঠা যায়নি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। বিগত ১৬ বছর দুঃশাসনে আমাদের অতি পরিচিত শান্তি ও সুস্থময় পরিপার্শকে বিকৃত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের বাংলাদেশের সামাজিক সংহতিকে বিনষ্ট করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে সমাজকে পচা, গলিত, দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করা হয়েছে।"

তিনি আরো বলেন,"অন্যের জমি দখল, লুট, টাকা পাচারের মহা উৎসবের মধ্যে দিয়ে নিজের সিংহাসন অটল রাখতে সব ধরনের নোংরামিকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার শাসনের সমসময়ে হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নারী শিশু নির্যাতন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর অকথ্য নির্যাতন, রাষ্ট্র, সমাজের এমনই বিস্তার লাভ ঘটানো হয়েছিল যাতে সভ্য সজ্জন মানুষের বসবাস করা বিপদজনক হয়ে পড়েছিল।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সাধারণ মানুষকে লাঞ্ছিত করার জন্য কোনো দ্বিধা করা হয়নি। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি অপপ্রচারের বিরতিহীন কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।"যাবতীয় ভয়, হুমকি ও দুর্বিপাকের মধ্যে দেশের নাগরিক বৃন্দকে জীবনযাপন করতে হয়েছে। আপনারা জানেন যে বিএনপির মত একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে এহেনো অপপ্রচার নাই, এহেনো নিপীড়ন নাই, এহনো নির্যাতন নাই যে তারা করেনি।"

তিনি আরও বলেন,"দেশনেত্রীকে বছরের পর বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি যাতে চিকিৎসা নিতে না পারেন তার যাবতীয় ব্যবস্থা এই সরকার করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন এই কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।"রিজভী একে একটি অন্ধকার যুগ হিসেবে উল্লেখ করেন, যেখানে বিচারহীনতা এবং অস্থিরতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

"গোটা দেশকে নিজের হাতের মুঠোয় নিতে শেখ হাসিনা কোন আইনের শাসন, ন্যায়বিচার কোন কিছুর তোয়াক্কা করেননি। এক ভয়ঙ্কর একদলীয় দুঃশাসনের মধ্যে দিয়ে, এক দানবীয় দুঃশাসন তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। সেই রেশ ধরেই চলছে এখনো নারী, শিশু নির্যাতন কারীরা ওপতে বসে আছে। সেই রেশটা এখনো সম্পূর্ণ কাটিয়ে ওঠা যায়নি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এখনো সেই সমস্ত দুষ্কৃতিকারীরা ওঁত পেতে বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে।"

তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মাগুরার হৃদয়বিদারক ঘটনাটি তুলে ধরে বলেন,"সম্প্রতি মাগুড়ায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বোনের শ্বশুর কর্তৃক আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ এবং কয়েকদিন চিকিৎসারত থেকে গতকাল তার মৃত্যুবরণ সারা জাতিকে বিমূঢ় বেদনায় বেদনার্ত করেছে।"

আফরোজা

×