
ছবি:সংগৃহীত
মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি শোতে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) এর কার্যক্রম ও নির্দেশনা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, "বিডিআর একটি বাহিনী, এবং ওই বাহিনীর হেডকোয়ার্টার থেকে যে আদেশ দেওয়া হয়, বাহিনী তা পালন করতে বাধ্য।" তিনি আরও বলেন, "যদি বাহিনীকে আদেশ দেওয়া হয়, 'বর্ডারে যা ঘটুক, তুমি গুলি করতে পারবে না, এমনকি যদি গুলি করেও মারা যাও,' তখনও তাদের গুলি করার অনুমতি থাকে না।"
এসময় মিজানুর রহমান বলেন, "আমি আশ্চর্য হয়েছি, শেখ হাসিনার সরকার এই ধরনের আদেশ দিয়েছিল।" তিনি ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকটের সময়ের একটি অভিজ্ঞতা স্মরণ করেন, যখন তিনি টেকনাফ এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, "আমি সীমান্তের কাছাকাছি একটি বিডিআর চেকপোস্টে গিয়ে তাদের বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম।" তবে, তিনি নিজেকে পরিচয় দিয়ে সেখানে যেতে পারেন। "পোস্টে গিয়ে আমি দেখলাম বিডিআর এর এক নায়েক বসে আছেন। তার বুট খোলা দেখে আমি তাকে প্রশ্ন করি, 'তোমার এই অবস্থা কেন?' সে জানায়, 'স্যার, খুব ভয়ে আছি। আমাদের অর্ডার করা হয়েছে যে, আমরা কোন অবস্থাতেই গুলি করতে পারব না।'"
মিজানুর রহমান আরও বলেন, "আমি ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা অঞ্চলের শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম। একদিন ভোরবেলা কমান্ডার আমাকে জানালেন, 'স্যার, আমাদের তিনজন লোক বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে।' আমি তাদেরকে অনুরোধ করতে বলি, তবে কিছু সময় পর কমান্ডার জানালেন, 'অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা ছাড়েনি।' এরপর আমি কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলাম। পরের দিন সকালে, একজন হাবিলদার আমাকে জানায়, '৫ জন ভারতীয়কে আটক করেছি, তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকেছিল।' এরপর পতাকা মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা কৌশলে সমস্যার সমাধান করি।"
এখানে মিজানুর রহমান তার অভিজ্ঞতা এবং সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যা বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা এবং বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছে।
আঁখি