
ছবি: সংগৃহীত।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, "আওয়ামী লীগ পুরো তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে নেমেছে।" তিনি দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অতীতের তুলনায় ভিন্ন এবং এবার জনগণ ব্যাপকহারে রাজপথে নেমেছে।
এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "১৯৯৬ আর ২০২৪ এক নয়। ১৯৯৬ সালে কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। ১৯৯১ ও ১৯৯০ সালেও পালানোর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। গত সাড়ে ১৫ বছরে জাতি যে পরিমাণ নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তা নজিরবিহীন।"
তিনি আরও বলেন, "এবারের আন্দোলনে শুধু তরুণরাই নয়, মায়েরা তাঁদের শিশুদের কোলে নিয়ে, ৯০ বছরের বৃদ্ধরাও রাস্তায় নেমেছেন। এতদিন শুধু পুরুষদের আন্দোলন দেখা যেত, কিন্তু এবার মা-বোনেরাও ব্যাপকভাবে নেমেছেন। তাই আগের কোনো সময়ের সঙ্গে বর্তমান প্রেক্ষাপটের তুলনা করা সম্ভব নয়।"
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "প্রত্যেকটি অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। যদি কেউ সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে তার প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে সেই বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ। যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি অন্যায়ের শিকার না হন।"
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ যদি তাদের নৈতিক অধিকার ও যোগ্যতা হারায়, তবে জনগণ জোর করে তাদের সেই অধিকার দিতে পারে না। আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার হোক। হাজারো মানুষ শহীদ হয়েছেন, অনেক নেতাকর্মী রিমান্ডে রয়েছেন। এসব অপরাধের সুষ্ঠু বিচার হওয়া জরুরি।"
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির কৌশলের সমালোচনা করে বলেন, "ওরে ঠেকাও, ওরে মারো—এই সংস্কৃতি থেকে রাজনীতিকে বের করে আনতে হবে। ইতিবাচক ধারায় রাজনীতিকে এগিয়ে নেওয়া উচিত, যাতে দেশকে সামনে নিয়ে ভালোভাবে ভাবা যায়।"
তিনি আশা প্রকাশ করেন, "যারা এখনো বিবেকবান, তারা শেষ সময়ে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। অনেক অন্যায় হয়েছে, এখন অন্তত একটি ভালো কাজ করে যাওয়া উচিত। যারা সত্যের পক্ষে সাক্ষী দিতে চান, তারা আদালতে এগিয়ে আসবেন।"
নুসরাত