
দেশের বেসরকারি স্কুল ও কলেজে নতুন নিয়োগ পাওয়া এক হাজার ৪৮৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এমপিও কমিটি।
তাদের মধ্যে স্কুলের এক হাজার ২০৪ জন ও কলেজের ২৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ৬৬৩ জনকে উচ্চতর স্কেল ও এক হাজার ৪১ জন স্কুলশিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) মার্চ মাসের এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মাউশির ৯ জন আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এমপিও কমিটির সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, বেসরকারি স্কুলের এক হাজার ২০৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৬৮, চট্টগ্রামের ৩২, কুমিল্লার ২৫, ঢাকার ৪৫০, খুলনার ২৩৭, ময়মনসিংহের ৮৬, রাজশাহীর ৬৯, রংপুরের ২২৮ এবং সিলেটের ৯ জন। কলেজের ২৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৫৩, চট্টগ্রামের ৫, কুমিল্লার ১৩, ঢাকার ৩৪, খুলনার ১৪, ময়মনসিংহের ৫৩, রাজশাহীর ৫৫, রংপুরের ৪২ এবং সিলেট অঞ্চলের ১৪ জন।
একই সভায় সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেসরকারি স্কুল-কলেজের এক হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিও কমিটি। তাদের মধ্যে স্কুলের এক হাজার ২৭০ জন ও কলেজের ৩৯৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।উচ্চতর গ্রেড পাওয়া স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ১৫২, চট্টগ্রামের ৬৫, কুমিল্লার ১১১, ঢাকার ১২০, খুলনার ১৭৫, ময়মনসিংহের ৯৭, রাজশাহীর ৫৯, রংপুরের ৪৩৩ এবং সিলেটের ৫৮ জন।
অন্যদিকে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩২, চট্টগ্রামের ২৮, কুমিল্লার ৬, ঢাকার ৪২, খুলনার ১৮, ময়মনসিংহের ১০, রাজশাহীর ২১৪, রংপুরের ৪০ ও সিলেট অঞ্চলের ৩ জন।
অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে কর্মরত এক হাজার ৪১ জন শিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএড স্কেল পাওয়া স্কুলশিক্ষকের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৭০, চট্টগ্রামের ১০৬, কুমিল্লার ৮৪, ঢাকার ১৮৩, খুলনার ৩১০, ময়মনসিংহের ৬১, রাজশাহীর ১৯৪, রংপুরের ৮ এবং সিলেট অঞ্চলের ২৫ জন।
আফরোজা