
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার এমন বিতর্কে এখন বাংলাদেশ। বিএনপি ও তার জোট শরিকরা চায় ডিসেম্বরের মধ্যেই হোক জাতীয় নির্বাচন। আর অন্যদিকে বিচার এবং সংস্কারের পর নির্বাচনের পক্ষে জামাতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। তবে সব দলই বলছে ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন ধরেই তারা এগোচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনে ডিসেম্বরের টাইমলাইন অতিক্রম করতে চায় না নির্বাচন কমিশন। এমন মন্তব্য রাজনীতির মাঠে তৈরি করেছে নানা আলোচনা সমালোচনা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যকে বিএনপি ও তাদের সমমানরা স্বাগত জানালেও ভিন্ন মত এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি ও বাম দলগুলোর প্রত্যাশা সরকার এ বছরই জাতীয় নির্বাচন করবে, আর সেই লক্ষ্য নিয়েই চলছে প্রস্তুতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু বলেন, "দলকে সুসংগঠিত করে নির্বাচনে যাব। সেখানে আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে, পজিটিভ জিনিসটা নিয়ে যাব আমরা।"
ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, "ওয়ার্কাস পার্টিরতো এক ধরনের রাজনৈতিক প্রস্তুতি আছে। এর আগের দুটো নির্বাচনে বিশেষ করে ২০০৮-এ আমরা অংশ নিয়েছিলাম, ২০১৮ তেও। সেখানেও রাজনৈতিক সংগঠনের কাজ, গণসংগঠনের কাজ, সংযোগের কাজ অব্যাহত আছে।"
বাংলাদেশ জায়য়াতে ইসলামী ও বিপ্লবীদের নতুন দল এনসিপির নেতারা বলছেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হলেও তারা ভোটের জন্য প্রস্তুত, তবে বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন করবে সরকার এমন প্রত্যাশা তাদের।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, "নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসবে, বিভিন্ন মেরুকরণ হবে, কোন দল নির্বাচনে কোন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছে, এখানে দলগত হবে না জোটগত হবে না অন্য বোঝাপড়ার ভিত্তিতে হবে এগুলো এখনো সময় আসে নাই। সে সময় যখন আসবে তখন আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ।"
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, "আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি আছে। নির্বাচন যখনই হোক আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সারাদেশে আমাদের যে কাঠামোটা জাতীয় নাগরিক কমিটির পর্যায়ে ছিল সেটাকে আমরা এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির পর্যায়ে মাইগ্রেট করার কথা ভাবছি এবং ঈদের পর থেকে আমরা এটা নিয়ে আরো জোরেসোরে কাজ করব।
জামায়াত ও এনসিপির নেতারা বলছেন গেল ১৫ বছরে ভোটারদের বড় একটি অংশ ভোট দিতে পারেনি। তড়িঘড়ি করে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশে আবারো ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান হতে পারে এমন আশঙ্কাও তাদের।
আবীর