ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সংস্কার নয়, নতুন দলের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া: রাশেদ খান

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১২ মার্চ ২০২৫

সংস্কার নয়, নতুন দলের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া: রাশেদ খান

ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন, নতুন দল গঠনের আগে তাদের উচিত ছিল জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা। কিন্তু তারা জন্মের আগেই নিজেদের বহু শত্রু তৈরি করেছে। এতে করে যারা রাজনৈতিকভাবে তাদের আশীর্বাদ দিত কিংবা শুভকামনা জানাত, সেই জায়গাটি তারা নিজেরাই নষ্ট করেছে।

রাশেদ খান আরও বলেন, যারা নতুন দলে যুক্ত হয়েছেন, তারা জাতীয় ঐক্য সংহতি বজায় রাখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব ভুলে ক্ষমতার জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। যখন সরকার থেকে একজন নেতা পদত্যাগ করেন, তখন তিনি কি সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে পদত্যাগ করেন? তিনি বলেছিলেন, তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সরকারে গিয়েছিলেন, কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার না করেই পদত্যাগ করেছেন। এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, তাদের মূল উদ্দেশ্য রাষ্ট্র সংস্কার নয়, বরং ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা।

তিনি আরও বলেন, যখন কেউ ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে, তখন অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো কি তাকে সমর্থন দেবে? সকলেই তো ক্ষমতায় যেতে চায়। রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করলে হয়তো তারা বাহবা পেত, কিন্তু তা না করে তারা দল গঠন ও ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফলে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে, যা আমরা চাইনি।

নতুন দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দল গঠন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে ওঠে। অথচ নাহিদ ইসলাম মাত্র এক সপ্তাহ আগে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাহলে কি তিনি ছয় মাস ধরে চলা এই প্রক্রিয়ার বাইরে ছিলেন? তিনি কি কিছুই জানতেন না? এটি বাস্তবসম্মত নয়। তিনি শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু তিনি একদিকে সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এবং অন্যদিকে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন, তাই এটি স্পষ্ট যে, এই দল সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট।

তিনি আরও বলেন, নতুন দলটি স্বীকার করছে যে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিও একসময় সরকারের সমর্থন নিয়ে গঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। বিএনপি গঠনের সময় বাংলাদেশে কার্যত কোনো কার্যকর দল ছিল না, আওয়ামী লীগ তখন বিলুপ্ত হয়ে বাকশালে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি একত্রে ছিল। এখন যদি কোনো পক্ষ অন্যদের বাদ দিয়ে এককভাবে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে চায়, তাহলে জনগণ তাকে 'কিংস পার্টি' বলবেই।

রাশেদ খান মনে করেন, নতুন দল করা ছাত্ররা চাইলেই ভিন্ন কৌশল নিতে পারত। যারা সরকারে গিয়েছে, তারা সেখানে থাকতেই পারত, আর যারা বাইরে ছিল, তারা নতুন দল গঠন করতে পারত। এতে করে তাদের 'কিংস পার্টি' হওয়ার তকমা লাগত না।

তিনি বলেন, "দল গঠনের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া আছে, সেখানে হঠাৎ করে এসে কেউ আহ্বায়ক বা সভাপতি হতে পারে না।"

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/cTeltiziBUc?si=lnjUEerBZ9eDvKQr

এম.কে.

×