ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

জামায়াতের অপ্রতিরোধ্য নির্বাচনী যাত্রা

ইসরাফিল ফরাজী

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ১১ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৩:৫৩, ১২ মার্চ ২০২৫

জামায়াতের অপ্রতিরোধ্য নির্বাচনী যাত্রা

ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী। একের পর এক রাজনৈতিক ভূমিকায় নজর কাড়ছে দলটি। সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যেগের আগেই চব্বিশের শহীদ পরিবারকে অর্থ সহযোগিতা, আহতদের চিকিৎসা এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যায় ভূমিকা পালন করায় দলটিকে নিয়ে সর্বমহলে চলছে নানা সমীকরণ।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড ভাঙার প্রস্তুতি নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছে দলটি । অতীতে বিএনপিসহ অনেকের সঙ্গে জোটে নির্বাচন করলেও এবার দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামে রয়েছে 'একলা চলা' নীতি। আবার রাজনৈতিক কৌশলগত জোটের অধ্যায়ও রাখা হয়েছে।  দেশজুড়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দেওয়া হচ্ছে। চমকপ্রদ কর্মসূচী ও নানা উদ্যেগে জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে দলটি।

একইসাথে খুব শীঘ্রই নির্বাচন আয়োজন করতে জামায়াত ড. ইউনূস সরকারকেও চাপ অব্যাহত রেখেছে। অতীতে জোটের সিদ্ধান্তেই ভোটের মাঠে লড়াই করলেও এবার দলটি জনপ্রিয়তার হিসাব রেখে দেশের সব আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি রেখেছে। ইতিমধ্যে অন্তত ২৫০টি আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করেছে তারা। প্রার্থীরা এখন থেকেই নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে ভোটের মাঠে ছুটে বেড়াচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণ জামায়াতের প্রার্থীদের ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছে বলেও দলটির মাঠ পর্যায় থেকে দাবি করা হচ্ছে।

দিনক্ষণ ঠিক না থাকলেও নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত সাড়ে পনেরো বছরেরও বেশি সময় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বশূন্য করতে একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ও কারাগারে রেখে হত্যা করে শেখ হাসিনার সরকার। সর্বশষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাঝেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জামায়াত ইসলামীকে।

তবু সব বাধা পেরিয়ে একদিকে দল গোছানো, অপরদিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি এখন আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। দ্রুতই দলের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাওয়ার আশা নেতাদের। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করে আসছেন, প্রথমে ছাত্র-জনতার হত্যার বিচার এবং সংস্কার শেষে নির্বাাচন।

তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে জামায়াত। নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক সফর করছেন সারাদেশে। যুবক ও তরুণদের নিয়ে সারাদেশে চালানো হচ্ছে সামাজিক কার্যক্রম। আলেম-ওলামাদের সমন্বয়ে চলছে মসজিদভিত্তিক কার্যক্রম এবং মাহফিল। নারী ভোটারদের টানতে প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে মহানগর পর্যন্ত চলছে মহিলা জামায়াতের কার্যক্রম।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্যরা বলেছেন, 'জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক গণতান্ত্রিক দল। আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনের সময় নির্ধারণ না হলেও আমরা প্রতিটি জেলায় প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই করছি। জোট এবং অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।'


সাংগঠনিক জেলা ও বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি আসনগুলোতে বাছাই প্রক্রিয়া চলমান। নির্বাচনের আমেজ তৈরি হওয়ার আগেই নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পাবার জন্যও আইনি লড়াই করছে জামায়াত।

পতিত সরকারের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্ত ছিল, প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহার করা হয়। ফলে ‘দাঁড়িপাল্লা’ অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায়বিচার তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জনকণ্ঠকে বলেছেন, 'নির্বাচন নিয়ে বছর মাস কিংবা দিন কোনোকিছুই এখন পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্ট করে দিইনি। চব্বিশের আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আসামিদের বিচার করে তারপর আমরা নির্বাচন চাই।'

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, 'নির্বাচন আমরাও দ্রুত চাই। তবে সেটা অবাধ নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সেটার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার প্রয়োজন। আর এজন্য দরকার ইলেকশন, জুডিশিয়াল, সংবিধান, পুলিশসহ ৬-৭টি জায়গায় সংস্কার। এটা না করলে নির্বাচন দিলে তা ১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতোই হবে। আমরা ১৫ বছর অপেক্ষা করেছি। দুই এক মাস আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না, গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না। আমরা একটা দাবি করেছি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এটি না হলে পেশিশক্তি ও কালো টাকার খেলা চলবে।'

সংসদীয় আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার বিষয়ে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, 'জামায়াত একটি নির্বাচনমুখী দল। ৩০০ আসনে নির্বাচন করার জন্য আমরা মাঠ এবং প্রার্থী প্রস্তুত করার কাজে মাঠে নেমেছি। এখন বিভিন্ন জেলায় আসনভিত্তিক যে প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে, তা প্রাথমিক বাছাই করা তালিকা। চূড়ান্ত তালিকা কেন্দ্র থেকে আরও পরে ঘোষণা করা হবে।'

জোট গঠনের বিষয়ে জামায়াত সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারবলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে কোনো দলের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হতে পারে জামায়াত। সেখানে ইসলামিক দল কিংবা নতুন রাজনৈতিক দলগুলো থাকতে পারে। সেটা হতে পারে পাঁচ কিংবা দশ দলের জোট।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর চলছে। এখনও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনও দেশে বৈষম্য শেষ হয়নি। এই বৈষম্য দূর করতে রাষ্ট্রে ইসলামি আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন আমাদের ঐক্য। আগামী নির্বাচনে ইসলামিক দলগুলোকে এক জোটে আনার কাজ চলছে, ইসলামিক জনতার ব্যালট বাক্স হবে একটি। আমরা যদি এটি বাস্তবায়ন করতে পারি, এই বাংলাদেশে ইসলামের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।'

দলের নিবন্ধন ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগীয় সম্পাদক ও দলের মুখপাত্র এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, 'জামায়াতে ইসলামী দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ দলের নিবন্ধন পেয়েছিল। এ কারণে যখন ফের নিবন্ধন ফিরে পাবে, তখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহই পাবে। এর ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই।'

যেসব আসনে প্রাথমিক প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত-
এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৪৯টি আসনে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭০টি আসনের মধ্যে ৫৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪৯টি, সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে সবকটি।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪টি আসনের মধ্যে ১৯টি, বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৯টি, খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩২টি, রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৫টি এবং রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে ২৪টি আসনে জামায়াত প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা বিভাগের ৭০টি আসনের মধ্যে ঘোষণা হয়েছে ৫৩টি। ঢাকা জেলার ২০টি আসনের মধ্যে ঘোষণা হয়েছে ১১টি আসনে।

ঢাকা-৬ আসনে ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৭ এ হাজী হাফেজ মো. এনায়েতুল্লাহ, ঢাকা-৮ এ ড. এ্যাড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১০ এ এ্যাড. জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১১ এ এ্যাড. আতিকুর রহমান, ঢাকা-১২ এ সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা-১৩ এ ডা. মু. মোবারক হোসাইন, ঢাকা-১৪ এ ব্যারিস্টার মীল আহমদ বিন কাশেম আরমান, ঢাকা-১৫ আসনে জাময়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ঢাকা-১৬ এ কর্নেল (অব.) আব্দুল বাতেন এবং ঢাকা-১৮ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে অধ্যক্ষ আশরাফুল হককে।


ঢাকার বিভাগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জেলা নারায়ণগঞ্জ, যেখানে ৫টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে আনোয়ার হোসাইন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-২ এ অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-৩ এ ড. ইকবাল হোসাইন ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ মাওলানা আব্দুল জব্বার এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী করা হয়েছে।


গাজীপুরের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে দলটি। গাজীপুর-২ আসনে হোসেন আলী, গাজীপুর-৩ এ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর-৪ এ অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন আইউবী এবং গাজীপুর-৫ আসনে খায়রুল হাসানকে প্রার্থী করা হয়েছে।


শরীয়তপুরের ৩টি আসনেই প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। শরীয়তপুর-১ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ড. মোশাররফ হোসেন মাসুদ তালুকদারেকে, শরীয়তপুর-২ এ অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল এবং শরীয়তপুর-৩ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাকে। 

ফরিদপুর জেলার ৪টি আসনেই প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। ফরিদপুর-১ আসনে ইলিয়াছ মোল্লা, ফরিদপুর-২ এ মাওলানা সোহরাব হোসেন, ফরিদপুর-৩ এ অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব এবং ফরিদপুর-৪ আসনে মাওলানা সরোয়ার হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।


গোপালগঞ্জ জেলার সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। গোপালগঞ্জ-১ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ, গোপালগঞ্জ-২ এ অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার এবং গোপালগঞ্জ-৩ আসনে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।


মাদারীপুর জেলার ৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে দলটি। মাদারীপুর-১ আসনে মাওলানা সারোয়ার হোসেন, মাদারীপুর-২ এ মাওলানা আব্দুস সোবাহান খান এবং মাদারীপুর-৩ আসনে মো. রফিকুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে। 

মানিকগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে প্রার্থী দিয়েছে দলটি। মানিকগঞ্জ-১ আসনে ডা. আবু বকর সিদ্দিক এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে অধ্যক্ষ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনকে। 

টাঙ্গাইল জেলার ৮টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। টাঙ্গাইল-১ আসনে অধ্যক্ষ মন্তাজ আলী, টাঙ্গাইল-২ এ হুমায়ূন কবীর, টাঙ্গাইল-৩ এ হুসনে মোবরক বাবুল, টাঙ্গাইল-৪ এ প্রফেসর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৫ এ হাবীব মাসুদ, টাঙ্গাইল-৬ এ ডাক্তার আব্দুল হামিদ, টাঙ্গাইল-৭ এ অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ তালুকদার এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনে শফিকুল ইসলাম খানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোসাদ্দেক আলী ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ-২ এ শফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৪ এ মোহাম্মদ রোকন রেজা, কিশোরগঞ্জ-৫ এ রমজান আলী এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে কবির হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলায় দুটি আসেনের মধ্যে শুধু রাজবাড়ী-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম।

নরসিংদী জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। নরসিংদী-২ আসনে মাওলানা আমজাদ হোসাইন, নরসিংদী-৩ এ মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান কাওসার, নরসিংদী-৪ এ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম এবং নরসিংদী-৫ আসনে জাহাঙ্গীর আলমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম বিভাগে মোট সংসদীয় আসন রয়েছে ৫৮টি। এর মধ্যে ৪৯টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত।

চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে দলটি। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম-১ আসনে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ এ অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম-৩ এ আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ এ আনোয়ারুল সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ এ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ এ শাহজাহান মঞ্জুর, চট্টগ্রাম-৭ এ অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম-৮ এ ডা. আবু নাসের, চট্টগ্রাম-৯ এ ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ এ অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ এ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-১২ এ ইঞ্জিনিয়ার লোকমান, চট্টগ্রাম-১৩ এ অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম-১৪ এ ডা. শাহাদৎ হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ এ শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে জহিরুল।

কক্সবাজারের ৪টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। কক্সবাজার-১ আসনে আবদুল্লাহ আল ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার-৩ এ শহীদুল আলম বাহাদুর এবং কক্সবাজার-৪ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারিকে প্রার্থী করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের ২টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। রাঙামাটিতে অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ এবং বান্দরবানে এ্যাডভোকেট আবুল কালামকে প্রার্থী করা হয়েছে।

কুমিল্লা জেলার ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। কুমিল্লা-১ আসনে মনিরুজ্জামান বাহালুল, কুমিল্লা-২ এ নাজিম উদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা-৩ এ ইউসুফ হাকিম সোহেল, কুমিল্লা-৪ এ সাইফুল ইসলাম শহিদ, কুমিল্লা-৫ এ ড. মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা-৬ এ কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা-৮ এ শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা-৯ এ সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা-১০ এ মাও. ইয়াসিন আরাফাত এবং কুমিল্লা-১১ আসনে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরকে প্রার্থী করা হয়েছে।  

চাঁদপুর জেলার ৫টি ও ফেনীর ৩টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। এর মধ্যে চাঁদপুর-১ আসনে আবু নসর আশ্রাফী, চাঁদপুর-২ এ ডা. আব্দুল মুবিন, চাঁদপুর-৩ এ এড. শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর-৪ এ মাও. বিল্লাহ হোসেন মিয়াজী এবং চাঁদপুর-৫ আসনে মাও. আবুল হোসেনকে প্রার্থী করা হয়েছে। ফেনী-১ আসনে এড. এস কামাল উদ্দিন, ফেনি-২ এ অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূইয়া এবং ফেনি-৩ আসনে ডা. ফখরুদ্দিন মানিককে প্রার্থী করা হয়েছে।  

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১০টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। নোয়াখালী-১ আসনে মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নোয়াখালী-২ এ মাওলানা সাইয়েদ আহমেদ, নোয়াখালী-৩ এ মো. বোরহান উদ্দিন, নোয়াখালী-৪ এ ইসহাক খন্দকার, নোয়াখালী-৫ এ মো. বেলায়েত হোসেন এবং নোয়াখালী-৬ এ এড. মো মাহফুজল হককে প্রার্থী করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি আসনের মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নাজমুল হাসান, লক্ষ্মীপুর-২ এ রুহুল আমিন ভূইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ এ ড. রেজাউল করিমে এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আশ্রাফুল ইসলাম।

সিলেট বিভাগ

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী।

সিলেট জেলার মধ্যে সিলেট-১ আসনে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট-২ এ প্রফেসর এম এ হান্নান, সিলেট-৩ এ মাওলানা লোকমান আহমদ, সিলেট-৪ এ জয়নাল আবেদীন, সিলেট-৫ এ হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান এবং সিলেট-৬ আসনে সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী করা হয়েছে। 

মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে মৌলভীবাজার-১ আসনে মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-২ এ মো. শাহেদ আলী, মৌলভীবাজার-৩ এ মো. আবদুল মান্নান এবং মৌলভীবাজার-৪ আসনে মো. আবদুর রবকে প্রার্থী করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলার ৪টি আসনের সবকটিতে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. শাহজাহান আলী, হবিগঞ্জ-২ এ শেখ জিল্লুর রহমান আজমী, হবিগঞ্জ-৩ এ অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, সুনামগঞ্জ-২ এ আইনজীবী শিশির মনির, সুনামগঞ্জ-৩ এ অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান, সুনামগঞ্জ-৪ এ মুহাম্মদ শামসউদ্দীন এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানীকে প্রাথমিক প্রার্থী করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলায় মোট সংসদীয় আসন রয়েছে ২৪টি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৯টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত।

নেত্রকোনায় ৫টি আসনের মধ্যে সবকটি, শেরপুরের ৩টির আসনের সবকটি, জামালপুরে ৫টি আসনের মধ্যে ১টি এবং ময়মনসিংহ জেলার ১১টির মধ্যে ১০টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত।

ময়মনসিংহ-১ আসনে মাহফুজুর রহমান, ময়মনসিংহ-২ এ মাহবুব মন্ডল, ময়মনসিংহ-৩ এ মাওলানা বদরুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৪ এ কামরুল আহসান, ময়মনসিংহ-৫ এ মতিউর রহমান আকন্দ, ময়মনসিংহ-৬ এ কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ-৭ এ আসাদুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ এ মঞ্জুরুল হক, ময়মনসিংহ-১০ এ ইসমাইল হোসেন এবং ময়মনসিংহ-১১ আসনে সাইফ উল্লাহ পাঠানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

নেত্রকোনা-১ আসনে অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম, নেত্রকোনা-২ এ অধ্যাপক মাওলানা এনামূল হক, নেত্রকোনা-৩ এ দেলাওয়ার হোসেন সাইফুল, নেত্রকোনা-৪ এ অধ্যাপক আল হেলাল তালুকদার এবং নেত্রকোনা-৫ আসনে অধ্যাপক মাসুম মোস্তফাকে প্রার্থী করা হয়েছে।

শেরপুর-১ আসনে হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ আসনে মু. গোলাম কিবরিয়া ভিপি, শেরপুর-৩ এ আলহাজ নুরুজ্জামান বাদল এবং জামালপুর-৪ আসনে মো. আব্দুল আওয়ালকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল বিভাগের ২১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৯টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত।

বরিশাল-১ আসনে মাওলানা কামরুল ইসলাম, বরিশাল-২ এ মাস্টার আব্দুল মান্নান, বরিশাল-৩ এ জহিরউদ্দিন মু. বাবর, বরিশাল-৪ এ অধ্যাপক মাওলানা আবদুল জব্বার, বরিশাল-৫ এ অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল এবং বরিশাল-৬ আসনে মাওলানা মাহমুদুন্নবী তালুকদারকে প্রার্থী করা হয়েছে।

পিরোজপুর-১ আসনে আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, পিরোজপুর-২ এ শামীম সাঈদী এবং পিরোজপুর-৩ আসনে আব্দুল জলিলকে প্রার্থী করা হয়েছে।

ঝালকাঠি-২ আসনে শেখ নেয়ামুল করিম, পটুয়াখালী-১ আসনে অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, পটুয়াখালী-২ এ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, পটুয়াখালী-৩ এ অধ্যাপক শাহ আলম এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমকে প্রার্থী করা হয়েছে।

বরগুনা-১ আসনে মাওলানা মহিবুল্লাহ হারুন, বরগুনা-২ এ সাবেক মজলিশে শূরা সদস্য ডা. সুলতান আহম্মেদকে প্রার্থী করা হয়েছে।

ভোলা-১ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা মো. নজরুল ইসলাম, ভোলা-২ আসনে মাওলানা ফজলুল করিম এবং ভোলা-৪ আসনে মাওলানা মোস্তফা কামালকে প্রার্থী করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগ

খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩২টিতে প্রার্থী ঘোষণা করছে জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

খুলনা-১ আসনে শেখ আসনে আবু ইউসুফ, খুলনা-২ এ অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা-৩ এ অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা-৪ এ অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ এ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ আসনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।


ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার ৮টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। ঝিনাইদহ-১ আসনে এ এস এম মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ এ অধ্যাপক আলী আজম মো. আবু বকর, ঝিনাইদহ-৩ এ অধ্যাপক মতিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ এ মাওলানা আবু তালেবকে প্রার্থী করা হয়েছে। কুষ্টিয়া-১ আসনে উপাধ্যক্ষ মাওলানা বেলাল উদ্দিন, কুষ্টিয়া-২ এ মো. আব্দুল গফুর, কুষ্টিয়া-৩ এ ফরহাদ হুসাইন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে আফজাল হোসাইনকে প্রার্থী করা হয়েছে।  

সাতক্ষীরা, মেহেরপুর ও নড়াইলের ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। এর মধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, সাতক্ষীরা-২ এ মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ এ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে। মেহেরপুর-১ আসনে মাওলানা তাজউদ্দিন খান, মেহেরপুর-২ এ মো. নাজমুল হুদাকে এবং নড়াইল-২ আসনে আতাউর রহমান বাচ্চুকে প্রার্থী করা হয়েছে। নড়াইল- ১ আসনে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।

চুয়াডাঙ্গার ২টির মধ্যে ১টি, বাগেরহাটের ৪টি এবং যশোরের ৬টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে অ্যাড. মাসুদ পারভেজ, বাগেরহাট-১ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান, বাগেরহাট-২ এ শেখ মঞ্জুরুল হক রাহাদ, বাগেরহাট-৩ এ অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে অধ্যক্ষ আব্দুল আলিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।

যশোর-১ আসনে মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর-২ এ মাওলানা আরশাদুল আলম, যশোর-৩ এ আব্দুল কাদের, যশোর-৪ এ অধ্যাপক গোলাম রসুল, যশোর-৫ এ অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক এবং যশোর-৬ আসনে অধ্যাপক মোক্তার আলীকে প্রার্থী করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী বিভাগে ৩৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াত। রাজশাহী জেলার ৬টির মধ্যে ৫টি, সিরাজগঞ্জের ৬টির মধ্যে ৫টি এবং নওগাঁ জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী দিয়েছে জামায়াত।

রাজশাহী-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রাজশাহী-৩ এ অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ এ ডা. আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ এ নুরুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ আসনে অধ্যাপক নাজমুল হককে প্রার্থী করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মাওলানা শাহীনুর আলম, সিরাজগঞ্জ-২ এ অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৪ এ জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সিরাজগঞ্জ-৫ এ অধ্যক্ষ আলী আলম, সিরাজগঞ্জ-৬ এ অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছে।

নওগাঁ-১ আসনে অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক, নওগাঁ-২ এ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, নওগাঁ-৪ এ খন্দকার মুহাম্মদ আব্দুর রাকিব, নওগাঁ-৫ এ অ্যাডভোকেট আ স ম সায়েম এবং নওগাঁ-৬ আসনে মোহাম্মদ খবিরুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে।


এছাড়া বিভাগের বাকি ৫টি জেলা বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনার ২১টি আসনের মধ্যে ১৯টি আসনে প্রাথিমক প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন করেছে দলটি। যেখানে বগুড়া-১ আসনে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন, বগুড়া-২ এ শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ এ নূর মোহাম্মাদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ এ অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ এ দবিবুর রহমান, বগুড়া -৬ এ আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৭ আসনে গোলাম রাব্বানীকে প্রার্থী করা হয়েছে।

জয়পুরহাট-১ আসনে ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, জয়পুরহাট-২ এ এস. এম. রাশেদুল আলম সবুজ, নাটোর-১ আসনে মো. আবুল কালাম আজাদ, নাটোর-২ এ অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, নাটোর-৩ এ প্রফেসর সাইদুর রহমান এবং নাটোর-৪ আসনে মাওলানা আব্দুল হাকিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ড. কেরামত আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এ ড. মিজানুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এ নুরুল ইসলাম বুলবুল, পাবনা-১ আসনে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, পাবনা-৪ এ আবু তালেব মন্ডল এবং পাবনা-৫ আসনে মো. ইকবাল হোসেনকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে জামায়াতের প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে ২৪টি আসনে। এর মধ্যে রংপুর জেলার ৫টি, দিনাজপুরের ৬টি, গাইবান্ধার ৩টি, পঞ্চগড়ের ২টি, নীলফামারীর ১টি, ঠাকুরগাঁও এর ৩টি এবং কুড়িগ্রামের ৩টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রংপুর-১ আসনে অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, রংপুর সদর-৩ এ অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল, রংপুর-৪ এ টি এম আজম খান, রংপুর-৫ এ গোলাম রব্বানী এবং রংপুর-৬ আসনে মাওলানা মো. নুরুল আমিন।

দিনাজপুর-১ আসনে মো. মতিউর রহমান, দিনাজপুর-২ এ অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম, দিনাজপুর-৩ এ অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম, দিনাজপুর-৪ এ মো. আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর-৫ এ শিক্ষাবিদ মো. আনোয়ার হোসেন এবং দিনাজপুর-৬ আসনে মো. আনোয়ারুল ইসলামকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী।

গাইবান্ধা- ১ আসনে মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ এ মাওলানা নজরুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ এ ডা. আবদুর রহীম, পঞ্চগড়-১ এ অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, পঞ্চগড়-২ এ মো. সফিউল্লাহ সুফি, নীলফামারী- ২ আসনে মো. মনিরুজ্জামান মন্টুকে প্রার্থী করা হয়েছে।

এছাড়া, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দেলাওয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও-২ এ মাওলানা আব্দুল হাকিম, ঠাকুরগাঁও-৩ এ মাস্টার মিজানুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৩ এ ব্যারিস্টার মাহবুব আলম সালেহী এবং কুড়িগ্রাম- ৪ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে প্রার্থী করা হয়েছে।

রাকিব

×