
ছবি:সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন মুখ্যসম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টক শো-এ মন্তব্য করে বলেন, "গণপরিষদ নির্বাচন এবং সংসদ নির্বাচন—এই দুইটির মধ্যে সাধারণ জনগণের মধ্যে ধোঁয়াসা রয়েছে। দুইটির মধ্যে পার্থক্য বিস্তর এবং জাতীয় পর্যায়ে চিন্তা করলে, তাদের গুরুত্বও অত্যন্ত বেশি।"
তিনি আরও বলেন, "যদি আমরা ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের পরবর্তী ঘটনাগুলো দেখি, তখন ফ্রান্সে প্রথম গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, কারণ তারা রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। যদিও এটি প্রাসঙ্গিক যে আগে তাদের গণতন্ত্র ছিল না, তাই তাদের গণপরিষদ নির্বাচন করতে হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললে, দেশভাগের পর তারা প্রথমে গণপরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়ন করে। অর্থাৎ, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়ায় ৪ বছরের গ্যাপ ছিল।"
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল আমাদের গণপরিষদ নির্বাচন হয় এবং ৪ নভেম্বর আমাদের সংবিধান প্রস্তাবনা গৃহীত হয়, যা ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। অর্থাৎ, মাত্র ৮ মাসের মধ্যে আমাদের সংবিধান রচনা হয়ে গেছে, যদিও পাশ্ববর্তী দেশগুলোর ক্ষেত্রে ৪ বছর সময় লেগেছিল।"
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, "যদিও ওই সময় তারা আমাদের সাহায্য করেছিল, কিন্তু সংবিধানের মধ্যে এমন কিছু ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা ইচ্ছাকৃতভাবে উপনিবেশিকতার প্রতি একটি প্রতিফলন ছিল।" তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, "যে রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবে, তাদের প্রধান তার পদে বারবার থাকতে পারবেন, তিনি আবার দলীয় প্রধানও থাকতে পারবেন। অর্থাৎ, এখানে কোনো কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের বিষয় নেই। আমি দলীয় প্রধান, আমিই রাষ্ট্র প্রধান।"
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, "যে দল সরকার গঠন করবে, তাদের সংসদ সদস্যরা যখন প্রস্তাব ভোটের সময় 'না' ভোট দেবেন, তখন তাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হবে। এতে তাদের অধিকার একরকম কব্জিভূত করা হয়েছে।"
আঁখি