বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, আমি জেলখানায় বসে আপনাদের কথা অনেক ভেবেছি, স্মরণ করেছি। কোনদিন আপনাদের সাথে দেখা হবে কিনা। আমি জেলখানায় কষ্ট করেছি আর আপনারাই বাইরে থেকেই সে কষ্ট ভোগ করেছেন। আমার জন্য আপনারা নামাজ পড়ে, তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করেছেন। এজন্য আল্লাহর রহমতে মুক্তি পেয়েছি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরত এসেছি। কোনদিন অন্যায় করিনি আর অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল ভূঁঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিন্টু বলেন, দীর্ঘ ১৭টি বছর এদেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে যার জন্য শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। ভারতের দালালি করিনি। ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জালে লিপ্ত হইনি। বর্তমানে চক্রান্ত হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এদেশে শুধু ছাত্ররা জীবন দেয়নি। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ প্রাণ দিয়েছে। যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা প্রাণ দিয়েছেন কি কারনে দিয়েছেন? এদেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য দিয়েছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মজলুম এ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা দেশে থাকলে আপনাদের সামনে আসতে পারতামনা। এভাবে বক্তব্য দিতে পারতামনা। যতদিন বেঁচে থাকবো সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো, মানুষের সেবা করবো। আপনারা অন্যায়ভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করবেন না। সততার সাথে ব্যবসা করবেন। অন্যায় করা যাবেনা, দুর্নীতি করা যাবেনা। নিজেদের মধ্যে দলাদলি ভালো না। ভালো কিছু বয়ে আনবেনা।
নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারন সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলু, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সজিব
