ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

আমিনুল হক

নব্য বিএনপি থেকে সাবধান, এই অনুপ্রবেশকারীদের কোনও সুযোগ নাই

প্রকাশিত: ২১:১২, ১০ মার্চ ২০২৫

নব্য বিএনপি থেকে সাবধান, এই অনুপ্রবেশকারীদের কোনও সুযোগ নাই

ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “নিজেদের ফায়দা দেওয়ার জন্য বিএনপির উপরে অনেক মিথ্যাচার, অনেক দোষ-ত্রুটি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ বাংলাদেশে এখন তো আর কোন আওয়ামী লীগ নাই। সব বিএনপি হয়ে গেছে। বিএনপি হচ্ছে না ভাই সবাই!

ওই আওয়ামী লীগের নেতাও গিয়া বলে, কোথায়, ভাই আমি তো অমুকের লোক। ওই আওয়ামী লীগের নেতা গিয়া বলে, আমি তো ভাই হাসানের লোক। ওই আওয়ামী লীগের নেতা গিয়া বলে, আমি তো অমুকের লোক। ওই আওয়ামী লীগের নেতা গিয়া বলে, আমি তো ডক্টর মাহদীর লোক। বলে না!  সবাই এখন বিএনপি হয়ে গেছে।”

আমিনুল হক বলেন, “এই যে বিএনপি, নব্য বিএনপি এদের কাছ থেকে সাবধান। এই অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপিতে কোন প্রকার সুযোগ নাই। তারা বিভিন্ন ভাবে দেখেন, আমরা তো অনেকে চিনি না, আমার পাশে এসে দেখা যায় যে, একটা ছবি তুলে ফেললো। ছবি তুলে বলে যে দেখেন, এই যে ভাই আমি তো আমিনুল ভাইয়ের লোক। তাকে ওতো একটা মানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের লোক, এদেরকে কখনো কোন প্রশ্রয় দিবেন না। আওয়ামী লীগকে কোন প্রশ্রয় দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। কারণ ওরা সন্ত্রাসী দল, ওরা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। ওরা বাংলাদেশের মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এদের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হতে পারে না।”

তিনি বলেন, “তাই আসুন, আমরা প্রত্যেকটি দলকে স্বাগত জানাই। প্রত্যেকটি নাগরিকের তার রাজনীতি করার অধিকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে আপনারা দলও করবেন, আবার সরকারের সুবিধাও নিবেন, এটা আমার কোন ধরনের কথা। একটি রাজনৈতিক দল, আমরা কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভিতরে রয়েছি। আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করছি, আমাদের সাধারণ মানুষ তাদেরকে সহযোগিতা করছে, আর নতুন একটি দল হয়েছে, ওই যে বললাম, আমাদের সন্তানরা যদি ভুল করে, তাহলে তো আমরা মাফ করে দেই, কিন্তু বড় ভুল করলে, মাফ করা যায়!”

তিনি আরো বলেন, “না, যায় না। আমাদের সেই নতুন দল, তারা দল করে, সরকারের বিরুদ্ধে বলে, আবার তাদের লোক সরকারে বসে রয়েছি। তো তারা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে দল করেছে, সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের তহবিল, তহবিলের কি একটা ফান্ড, তারা ওপেন ডিক্লার দিয়ে ফান্ড কালেক্ট করছে।

এবং আমরা দেখেছি, গত দুই দিনে এক সাবেক এমপির বাড়িতে গিয়ে এক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এক কোটি টাকার উপরে চাঁদা চেয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় ওই বাড়ি দখল করে সেটাকে পাগলের আস্তানা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখছি, যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে। বিভিন্ন জায়গায় অপকর্মে ইতিমধ্যে লিপ্ত হয়ে গেছে।”

আমিনুল হক বলেন, “কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করবো, ওই যে নব্য বিএনপির আওয়ামী লীগ, যারা বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে, তারা গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে, দখলদারি করছে, লুটতরাজ করছে, কিন্তু আমার বিএনপির নামের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরা কোন বিএনপির না, এরা আমাদের লোক হতে পারে না। যারা চাঁদাবাজি করে, যারা দখলদারি করে, যারা লুটতরাজ করে, তারা আমাদের বিএনপির কোন লোক হতে পারে না, তারা কোন জিয়াউর রহমানের সৈনিক হতে পারে না।”

মো. মহিউদ্দিন

×