
ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি একুুশে টিভি আয়োজিত টকশো ‘The Voice of Gen-Z’ এ উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সৈয়দা নিলিমা দোলা।
“অধিকার কতটুকু বাস্তবায়ন হলো!” এ শিরোনামে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সৈয়দা নিলিমা দোলা বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর নির্বাচনই একটা অদ্ভুত অন্ধকারের দিকে থেকেছি। আমরা কখনো ভোট দিতে পারি নাই। আমরা কখনো সুষ্ঠ নির্বাচন দেখি নাই। প্রতিটি রাতের নির্বাচন আমরা দেখেছি। নির্বাচন পরেরটা চাইলে আপনাকে বিচার, সংস্কারের পরেই চাইতে হবে। আপনাকে এই সময়টা দিতে হবে। এখন এখানে কথা আছে, যে বিচার, যে সংস্কার, আমি চাচ্ছি, সেটা কি আসলে হচ্ছে কিনা।”
তিনি বলেন, “সেটা ফলোআপ করতে হবে। সংস্কার কমিশন গুলো কাজ করছে। আমার মনে হয়, খুব বেশি দেরি না হলেও, নির্বাচন আসলে এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা উপদেষ্টারা করেছেন। নির্বাচন আসলে এ বছরের মধ্যে হবে, কিন্তু এর মধ্যবর্তী সময়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার আসলে কোন কারণ নেই বলে আমি মনে করি। কারণ এই সময়টা সংস্কার কমিশনকে আপনাকে দিতে হবে। আপনার পুলিশ সংস্কার কমিশন কাজ করছে, আপনার নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে, নারী সংস্কার কমিশন কাজ করছে, সো এই কমিশন গুলোর এটলিস্ট রিপোর্ট পাবলিশ করা এবং জনগণের কাছ থেকে একটা ফিডব্যাক নেওয়ার সময়টুকু দিতে হবে এবং নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, সেটা নিয়েও সর্বদলীয় মতামতের ভিত্তিতে আসলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দরকার বলে আমি মনে করি।”
তিনি আরো বলেন, “আজকের নির্বাচন, কালকে সকালের নির্বাচন, এভাবে আসলে হতে পারে না। আপনি সময় দেন, আপনি ১৫ বছর তো নির্বাচন না করে থেকেছেন। আপনি ১৫ বছর নির্বাচনেই আসেন নাই। আজকে আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বলছেন, কালকে নির্বাচন দিলে দেশের অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। কেন!”
সৈয়দা নিলিমা দোলা বলেন, “সংস্কার কমিশন গুলো কাজ করছে, আপনি তাদেরকে সাহায্য করেন। আপনি রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনার সেই দায়িত্ব নাই। সেটা করেন, সেটা না করে আপনি রাস্তায় সারাক্ষণ মাইকে মিছিলে-মিটিং এ বলে বেড়াচ্ছেন, নির্বাচন দিতে হবে। কেন! নির্বাচন আজকেই কেন দিতে হবে?”
তিনি বলেন, “আপনি ধৈর্য ধরেন। আপনি সংস্কার কমিশনকে সাহায্য করেন। সেই সাহায্য আপনি একটা প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে কেন করতে পারছেন না! প্রবীণ রাজনৈতিক দল হিসেবে কেন করতে পারছেন না! সেটা বরং আমার বিএনপি’র কাছে প্রশ্ন থাকবে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=NSgA4b-x5SA
মো. মহিউদ্দিন