ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

মগের মুল্লুক নাকি বাস্তবতা? সমাজের আয়নায় এক নজর: গোলাম সারোয়ার মিলন

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ৭ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৩:৫০, ৭ মার্চ ২০২৫

মগের মুল্লুক নাকি বাস্তবতা? সমাজের আয়নায় এক নজর: গোলাম সারোয়ার মিলন

গোলাম সারোয়ার মিলন

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি নিয়ে বিতর্ক, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে নির্বাচন যথাসময়ে হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর দাবি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনো অজুহাতেই নির্বাচন পেছানো যাবে না।

গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, “আমরা দেশটাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য থেকে আমরা সরে গেছি।” তিনি আরও বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, তাদের অনেকাংশেই উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।”

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার মতে, “একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হলে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার না হলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।”

রাজনৈতিক ঐক্যমতের প্রয়োজনীয়তা

গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, “বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা প্রয়োজন। তারা যদি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে। এছাড়া, জামাতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও সমঝোতার টেবিলে বসতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার যদি যথাযথ সংস্কার করে এবং বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ তৈরি করে, তবে নির্বাচন যথাসময়ে আয়োজন করা সম্ভব হবে।”

আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সেনাপ্রধানের বার্তা

সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিলন। সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “২৫ ফেব্রুয়ারির ওই বক্তব্য আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।”

শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তোমাদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানাই। তবে, আন্দোলন যেন দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে না নিয়ে যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী নির্বাচন এবং তার আগের সময়কাল হবে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে না পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=lddAN6Q68tM

রাজু

×