ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১

নাজমুল হক প্রধান

পুলিশ যখন দেখে প্রাইভেট কোন বাহিনী মুভ করছে, তখন পুলিশ আর কাজ করেনা

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৭ মার্চ ২০২৫

পুলিশ যখন দেখে প্রাইভেট কোন বাহিনী মুভ করছে, তখন পুলিশ আর কাজ করেনা

ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ যখন দেখে প্রাইভেট কোন বাহিনী মুভ করছে, তখন পুলিশ আর কাজ করেনা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। সম্প্রতি আরটিভি আয়োজিত ‘গোলটেবিল’ টকশোতে তিনি একথা বলেন। 

নাজমুল হক প্রধান বলেন, গণতন্ত্র তো বিতর্কের জায়গা, ভিন্ন মতের জায়গা। আমি একটু ভিন্ন কথাই বলতে চাচ্ছি। সেটা হচ্ছে যে, আমাদের গ্রামীণ একটা কথা আছে, ‘যে আগের হালটা যেদিক দিয়ে যায়, পিছনের হালগুলো ওইদিক দিয়েই যায়।’ মানে হোয়াট ইউ ইন্ডিকেটস, আমি বলছি যে, এখানে একটা বিশাল একটা আন্দোলন হয়ে গেছে। আমাদের হাজারের মত শহীদ হয়ে গেছে। ২০০০০ এর মত আহত হয়ে গেছে। অসংখ্য গৌরবের দিকে আন্দোলনটা আছে। এবং তিনদিন ধরে যতটুক যেটা হওয়ার, তিন দিন পর লোক ধৈর্য সহকারে সরকার গঠনের দিকে লোক তাকিয়েছিল। দেখেন এটা কিন্তু মারাত্মক মানে এরকম একটা আন্দোলন বিজয়ের পরে পাবলিক কিভাবে দেখেছে সেটাকে। এবং এটা সরকার গঠন করতে সময় দিয়েছে এবং সেই তিন দিনে কিন্তু যা আবার হয়ে গেছে, কিছু হয় নাই।

কিন্তু তারপর হলো কেন! আমি বলছি যে, এই যে আগের হালটা। গভমেন্ট এটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারটা আগের গভমেন্টের বা আগের লিগ্যাসির কোন দায়-দায়িত্ব নেওয়ার কথা না। আমি সিম্পলি একটা বলি যে, কেন বললাম কথাটা?

তিনি আরো বলেন, দেখেন, আমি বঙ্গবন্ধু বলি বা একজন বঙ্গবন্ধু, একজন শেখ মুজিব বলতেই পারে। এটা মানুষের গৌতম বুদ্ধের আমি মানসম্মান অপমান করলাম না, ঠিক বললাম, এটা কিছু আসে যায় না। কিন্তু যেদিন বঙ্গভবনের ছবিটা, ওইটা সিদ্ধান্ত নিয়ে তুলে ফেলতে হবে ছবিটা, কি সিদ্ধান্ত নিয়ে, যে আমরা অন্তবর্তী সরকার আমরা কোন ছবি এন্টারটেইন করবো না, কারো ছবি রাখবো না। 

জাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা সরকার সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বীরের মত নামিয়ে না ফেলে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দিল। হোয়াট ইট ইন্ডিকেটস! এই যে মবোক্রেসি তাই না! যে শক্তি করে দেখায়ে দিলাম, করে ফেললাম।

আপনি দেখেন, এরপরে এই যে আমাদের আন্দোলনের যে গৌরবের দিক, কালিমা তো কিভাবে হলো! আপনি এরপরে দেখেন, আপনি এই যে বুলডোজ হলো, ছ মাস পরে যে বুলডোজিং হলো, এগুলো কালিমা লিপ্ত করা। আন্দোলনের যে গৌরবের জায়গাটাকে নষ্ট করে দেওয়া, ম্লান করে দেওয়া। 

তিনি বলেন, এবং এই যে ধারাটা, এই ধারার কারণে কিন্তু আজকে আমি ব্লেম করতে পারি পুলিশকে, ওইটা পুলিশ। নো, এটা সাইকির মধ্যে এটা হয়ে গেছে মানুষের। যে এগুলো করলে তো অসুবিধা নাই কোন। আমি বলছি, তিনজন লোক ধরবে কেন ওখানটায়! যে মব ওখানটায় গেছে, ভিডিও হচ্ছে, দেখতে তাই না!

তিনি আরো বলেন, কেন রাত্রে গেল তারা এবং এই যে রাত্রে যাওয়া, এই যে রাত্রে বাসায় যাওয়া, সে ক্রিমিনাল বলছে, হ্যাঁ, রাত্রে বাসায় গিয়ে মব মুভ করে দেওয়া, এইটা কি! আইন-শৃঙ্খলা কাজ করবে কেন! পুলিশ কখনো কাজ করে না, যখন পুলিশ দেখে যে, প্রাইভেট কোন বাহিনী মুভ করে তখন পুলিশরা কাজ করে না। আমরা দেখছি, এরশাদের শাসনও দেখছি, পাকিস্তান আমলেও দেখছি আমরা। 

পুলিশ তখনই সাইলেন্ট হয়ে যায়, যখন দেখে যে না, আমার উপর তো অন্য জিনিস আছে এই জায়গায়।

গভমেন্টও যে কারণে হেলমেট বাহিনী করে, আজকে এটা তো পরিষ্কার, পতিত সরকার শেখ হাসিনা শুধু পুলিশের উপর নির্ভর করে নাই, হেলমেট বাহিনী করে, সে হেলমেট বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন সময় ত্রাস করছে, এটা আমরা দেখেছি। এবং ঢাকা কলেজ যখন আন্দোলন বিজয়, ঢাকা কলেজ থেকে যখন বের হলো, পুলিশের সেই কি বলা যায় যে, তার জ্যাকেট, ট্যাকেট সবকিছুই বের হয়ে গেল, হেলমেট থেকে শুরু করে, এভরিথিং। 

জাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বলতেছি যে এটা, পুলিশ তখনই স্বাধীনভাবে কাজ করবে, যদি পুলিশ অন্য কোন মাতবড়ির দ্বারা যদি ভীত না হয়। এখানটা হচ্ছে সেখানটা। সেখানটা ফলে পুলিশ অসহায়। স্টিল আনডান পুলিশ। আগের সরকার যেভাবে পুলিশকে চালিয়েছে, বর্তমান মনে করে, এভাবে চালাতে হবে। নো, নো, দৃষ্টিভঙ্গি এটা চেঞ্জ করতে হবে।

যদি দৃষ্টিভঙ্গি চেঞ্জ করতে পারে, তাহলে আমার ধারণা, এই যে মবোক্রেসি চলতেছে, এটা গভমেন্টকে বুঝতে হবে, সরকারকে যে মবোক্রেসি এটা উশৃঙ্খল জনতার শাসন। কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রান্ত পর্যন্ত আপনি জানেন, দিনেদুপুরে পঞ্চগড়ে একটা পার্টি আমিও নাম নিচ্ছি না, আমার প্রেজেন্সে একটা লোককে ধরে, ব্যবসাকে ধরে মারধোর করে, টাকা নিয়ে নিল। আমি এর দুইদিন পরে একটা প্রতিবাদ সমাবেশ করলাম। এই যে ঘটনা।

প্রতিবাদ করার পরে সবাই একটু সতর্ক হইলো যে, না, এটা করা যাবে না। এটা একটু লজ্জিত হইলো। এইতো ঘটনা, নোবডি কেয়ারস।

 

সূত্র:  https://www.youtube.com/watch?v=gbQQINeUMiE

মো. মহিউদ্দিন

×