
ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি জিটিভি আয়োজিত ‘টাইমলাইন বাংলাদেশ’ টকশোতে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র বর্তমান কার্যক্রম, নতুন দলের সাথে তাদের অবস্থান এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য হচ্ছে কিনা এসব প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী সাকি বলেন, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের বাইরে আমাদের আলাদা কোন স্বার্থ নাই। এই জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা করব।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, কতটুকু আশাবাদী, এই যে নতুন দল, কিরকম ভূমিকা রাখবে তারা?
নতুন দলের রাজনীতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারদিন পাঁচ-দিন হলো দল গঠন করেছে, কাজ করবে, এরপরে না হয় বলা যাবে।
প্রশ্ন ছিল, কিন্তু যে টিমটি কাজ করছে, সেই টিমটা তো অনেকদিন হলোই কাজ করছে, একই তো টিম। এখানে তো আসলে নতুন কোন কিছু না, তারা তো দীর্ঘদিন হলো কাজ করছে?
জবাবে সাকি বলেন, তারপরে তো এরা তো একটা গঠনের মধ্যে আছে। যে কারণে রাজনৈতিক দল গঠনের পরে তারা কি ভূমিকা নেয়, সেখানে সেটা দেখতে হবে। এখন তো তারা একটা রাজনৈতিক দল। এতদিন ছিল বৈষম্যবিরোধী মানুষ কিন্তু এখন পরিস্থিতি দেখতে হবে।
বিভিন্ন মত-পথের মানুষ এখানে এক হয়েছে, সেজায়গা থেকে আপনার কি মনে হয়?
জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দলে বহু দল থেকে লোক আসছে, অনেক দলের অনেকেই আছে।
প্রশ্নকর্তা জানতে চান, আপনার দলের রাইটিস্ট কেউ আছে?
জবাবে জোনায়েদ সাকি বলেন, রাইটিস্ট তো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না। ধরুন, আমাদের এখানে যেভাবে বলা হয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত ইভেন জাতীয় পার্টিরও কেউ কেউ বামপন্থী দল আছে। আমাদের মতো যারা সোশ্যাল ডেমোক্রেট লিবারেল পার্টি কিংবা একটা উদার গণতান্ত্রিক দল, এই দলগুলোর মধ্যে দেখবেন, একদল থেকে আরেক দলে যাওয়া-আসা এটা কিন্তু আছে। ফলে উপলব্ধিগত পরিবর্তন ঘটে একেকজনের জীবনে। ফলে তারা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়। কেউ কেউ হয়তো সুবিধার কারণেও যায়। সেটা বিভিন্ন কারণে যায়। ওইটা আমার কাছে খুব মুখ্য প্রশ্ন না।
আমি জাস্ট একটা বাক্য বলতে চাই, সেটা হচ্ছে যে রাজনৈতিক দল গঠনের পরে, এই যে নতুন কর্তব্যটা, সে এতদিন ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যেটা আমাদের সকলের সমর্থনের জায়গা ছিল। এখান থেকে যখন একটা রাজনৈতিক দল গড়ে উঠে, তারা কিন্তু এখন একটা পক্ষ। এই পক্ষের সাথে কেউ ঐক্য হবে, কেউ প্রতিদ্বন্দী বোধ করবে, কেউ মিত্রতাবোধ।
প্রশ্নকর্তা জানতে চান, আপনার দলের সাথে নতুন দলের ঐক্য হচ্ছে কিনা?
জবাবে জোনায়েদ সাকি বলেন, না কেউ প্রতিদ্বন্দীতা বোধ করবে, কেউ মিত্রতা বোধ করবে, কেউ একটু অল্প মিত্রতা, কেউ বেশি মিত্রতা, নানান কিছু মিত্রতা। পলিটিক্যাল পার্টির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি একরকম নয়।
শেষ প্রশ্ন ছিল, আপনাদের সাথে কোন ঐক্য হচ্ছে কিনা?
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমি সবসময় নীতিগত অবস্থান বলতে চাই। আমাদের বটম লাইন তিনটা বলছি, রাষ্ট্রব্যবস্থার বিনির্মাণ, গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। এটা বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ। জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের বাইরে আমাদের আলাদা কোন স্বার্থ নাই। এই জনগণের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা করব।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=dwhnohI2J0Q
মো. মহিউদ্দিন