
ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি একটি টকশোতে উপস্থাপক আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ রুমিন ফারহানার কাছে সারজিস আলমের বক্তব্য নিয়ে তার মতামত জানতে চান।
উপস্থাপক বলেন, “সারজিস আলম বলেছেন, যতদিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখতে পাচ্ছি, ততদিন যেন কেউ ভুলক্রমে নির্বাচনের কথা না বলে।”
এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, “আমি একজন আইনজীবী হিসেবে বলছি, ধরুন একটি আইডিয়াল পরিস্থিতি, যেখানে কোনো মামলার বিলম্ব নেই, সব কিছু নিয়মমাফিক চলছে—যা একপ্রকার ইউটোপিয়ান চিন্তা। বাস্তবে এটি ঘটে না, কিন্তু আমি সেই আদর্শ পরিস্থিতির কথাই ধরছি। সেই পরিস্থিতিতেও একজন ফাঁসির আসামির ট্রায়াল শেষ হয়ে, আপিল বিভাগ হয়ে, রিভিউর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে অন্তত পাঁচ থেকে সাত বছর লাগে। যদি রাজনৈতিক সংশ্লেষ থাকে, তাহলে এটি আজীবন চলতে পারে। আমি সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। আমি শুধু বলছি, আদর্শ পরিস্থিতিতেও ন্যূনতম সাত বছর লাগবে। তাহলে কি নির্বাচন ৭ বছরের জন্য বন্ধ থাকবে? এই প্রশ্নটি আমি ওনার (সারজিস আলমের) কাছে রাখছি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন ও মামলা পরিচালনার মধ্যে কি কোনো দ্বন্দ্ব আছে? আপনি কি কোনো সংঘর্ষ দেখতে পাচ্ছেন? দুটোই তো সমান্তরালভাবে চলতে পারে। হাসিনা একসময় বলেছিলেন, ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র।’ এটি আসলে আইয়ুব খানের সময়ের কথা, স্বৈরশাসকদের কথা। যারা গণঅভ্যুত্থান করেছে, যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তারা কেন এই কথাগুলো বলবে? এসব কথা মিলিটারি শাসকরা বলে, কারণ তারা তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়।”
তিনি নতুন রাজনৈতিক দল ও তাদের ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করেন। “যখন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঢুকবে, তখন সব দল তাদের নিজস্ব মতাদর্শ ও ইলেকশন ম্যানিফেস্টো নিয়ে মানুষের সামনে আসবে। নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, তারা নিশ্চয়ই সংস্কারের কথা বলবে, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের কথা বলবে, সংবিধান সংশোধনের কথা বলবে। তারা ফ্যাসিবাদী ভিত্তিভূমি পরিবর্তন করে এমন একটি সংবিধানের কথা বলবে, যা গণমানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে। আমরা সেটাই আশা করি। দেখা যাক, জনগণ তাদের সেই কথাগুলো গ্রহণ করে কিনা। জনগণ যদি গ্রহণ করে, তাহলে তারা ভোটের মাধ্যমেই মতামত জানাবে। তার মানে, এর জন্য নির্বাচন লাগবেই।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=WgA0vETu1GY&ab_channel=GlobalTVNews
নুসরাত