
বিএনপির তথ্য গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এক টকশোতে বলেন, “অবাধ নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কিন্তু একটা বড় সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কারের যে ন্যারেটিভ ধরে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার যে চেষ্টা ছিল, সেটা কিন্তু বন্ধ হয়েছে। এরপরে আসছে বিচার। বিচার তো একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং সংস্কারও একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একটিকে থামিয়ে আরেকটি করা এটা অযৌক্তিক।”
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “সারজিস আলম যেটা বলল সেটা প্যাশন বা আবেগ। এখন এই আবেগ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে আমাদের যে গণঅভ্যুত্থানের আমরা যে পক্ষ শক্তি, আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অনৈক্য তৈরি করবো না। আবেগ মানুষের থাকবেই। রাজনীতিতেও আবেগের প্রয়োজন আছে কিন্তু, যেটা বলছে যে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না এটা তো আর যারা বলছে তারাও এটা করবে না। কারণ বিচার শেষ হওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়া।"
তিনি আরও বলেন, "আরেকটা হলো যে দ্রুত বিচার করতে পারেন। বিএনপিকেও তো দ্রুত বিচার করে বিএনপির অনেক নেতাকে আপনার ঝুলিয়ে দিয়েছে। দ্রুত বিচার করতে পারেন। কিন্তু আরেকটি কথা যেটা বলছেন, বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়। এটা কি কোন নেতা বলছে? বিএনপি বলছে যে নির্বাচনটা অপরিহার্য। গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হলো নির্বাচন।"
তিনি বলেন, "তারা যেমন বলছে সেকেন্ড রিপাবলিক বলছে, আমরা বলছি যে সেকেন্ড রিপাবলিক কেন হবে? এটা কেন থার্ড রিপাবলিক না? নতুন রিপাবলিকের প্রয়োজন কি? তর্ক-বিতর্ক থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের বিউটি।"
সংসদীয় আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কিন্তু প্রকৃত স্থান তো সংসদ। সংসদে যে আলোচনাটা হতো তাহলে সংসদ সদস্যগণ ন্যাটিফাই করে সেটা সংবিধানে ইনপুট দিতে পারতো।"
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, "ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে কিন্তু এখনো প্রেতাত্মারা রয়েছে। আমাদের এই পরিবর্তনকে যেহেতু পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত ভালোভাবে নেয়নি, তাদের ব্রেন চাইল্ডাররা রয়ে গেছে, অতএব আমাদের এই তর্ক-বিতর্কে তারা যেন ষড়যন্ত্রের সুযোগ না পায়।"
তিনি আরও বলেন, "আপনার এই বিপ্লব, এই গণঅভ্যুত্থানকে বেহাত করবার জন্য ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য অভ্যুত্থানে সকল শক্তি আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন।"
আজিজুল বারী হেলাল আরও বলেন, "যেহেতু বাংলাদেশে গত ১৭ বছর নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই জন্য আমরা বলছি যে, আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রথম সোপান নির্বাচন, সেই নির্বাচনটা আয়োজন করা উচিত।"
তিনি দাবি করেন, "কোন অজুহাত দেখিয়ে, যেমন- একটা অজুহাত দেখাচ্ছেন বলেছেন সংস্কার। আমরা তো বলছি যে অবাধ নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কিন্তু একটা বড় সংস্কার বাংলাদেশের। তাই না? সেই সংস্কারের যে ন্যারেটিভ ধরে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার যে চেষ্টা ছিল, সেটা কিন্তু বন্ধ হয়েছে। এরপরে আসছে বিচার। বিচার তো একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং সংস্কারও একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।"
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, "বিএনপি সবসময় তাদের স্বাগত জানায়। যেহেতু বিএনপি মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসি দিয়েছিল বিধায় কিন্তু আজকে নতুন নতুন দল, নতুন নতুন পথ-মত আসছে।"
সূত্র:https://tinyurl.com/mryabkyu
আফরোজা