
ছবিঃ সংগৃহীত।
‘শিবির ট্যাগ’ নিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’-এর আহ্বায়ক কমিটি থেকে বাদ পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোস্তফা আহমেদ বলেন, "আমি ৫ই জুন থেকে শুরু করে ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছাত্রলীগ বের করে দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি। ১৭ জুলাই, হলের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, মাথার ওপর মৃত্যুর পরোয়ানা নিয়ে আমি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে স্বৈরাচারের পতন এবং তার পরবর্তী সময়ে আমি সব ধরনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি।"
বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোস্তফা আহমদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী এবং মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র। মোস্তফা জানান, বাংলাদেশের নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’-এর আহ্বায়ক কমিটি থেকে তাকে ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মোস্তফা আহমদ বলেন, আমি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিমন মাহমুদ হাসানকে এর কারণ জানাতে বলি। তিনি আমাকে জানান, সার্চ কমিটির প্রধান হামজা মাহবুব তাকে ছাত্রশিবিরের ট্যাগ দিয়ে কমিটি থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না এবং ছাত্র শিবির বা অন্য কোনো দল-মতের অধীনে গিয়ে কোনো আন্দোলনে অংশ নিইনি। আমি ছিলাম জুলাই অভ্যুত্থানে অন্যতম সম্মুখ সারির যোদ্ধা, এবং সেই সময় কোটা আন্দোলনসহ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছি।"
এই অভিযোগের মাধ্যমে মোস্তফা আহমেদ বলেছেন, তার নাম কমিটি থেকে প্রত্যাহারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি তার ভূমিকা সব আন্দোলনে অবিচলিত থাকে, তাহলে তাকে কেন এইভাবে ট্যাগ দেওয়া হলো। তিনি বলেন, তার উপর কোনো অপ্রীতিকর চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক