
ছবি:সংগৃহীত
বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলের টক শোতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর বনি আমিন সম্প্রতি আওয়ামী লীগ এবং জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগকে মানবতা লঙ্ঘনকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এটা যত দ্রুত সম্ভব নিষিদ্ধ করা উচিত।" তার মতে, আওয়ামী লীগ দেশের শাসনকালে বিভিন্ন অবিচার করেছে এবং জনগণের প্রতি তাদের আচরণ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরো দাবি করেন, "বাংলাদেশে যদি কোন স্বচ্ছ দল থাকে, সেটা হল জামায়াতে ইসলামী। তারা খুবই অকপট। তাদের বিরুদ্ধে গুপ্ত সংগঠন তৈরি করার অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং গুজব মাত্র।" বনি আমিন এই মন্তব্যের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে এক ধরনের নির্দোষ দল হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন।
এছাড়া, তিনি বলেন, "অতীত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যে টাকাগুলো চুরি করেছে, সেই টাকার কিছু অংশ তারা পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা এখন বিভিন্ন দলগুলোতে বিনিয়োগ করছে, যেগুলো সহজে কেনা যায়। এই বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হল দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা।" তার মতে, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিজের স্বার্থে কেনার চেষ্টা করছে, কিন্তু জামায়াতে ইসলামী সহজে কেনা যাবে না।
তিনি বলেন, "জামায়াতে ইসলামীকে কেনা এত সহজ নয়। তবে, কিছু দল এবং নেতা যারা রাজনীতিকে পেশা হিসেবে মনে করেন, তাদের কিনে নেওয়া সম্ভব। এবং পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা সেই দলগুলোর পেছনে টাকা বিনিয়োগ করছে।"
বনি আমিনের এই মন্তব্যগুলি রাজনীতির অঙ্গনে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং তা সামাজিক মিডিয়া এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলে যে আর্থিক লেনদেন এবং দলগত পরিবর্তন হচ্ছে, তা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে।
আঁখি