
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গু ও শহীদ পরিবারের সম্মানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “শহীদ পরিবারগুলো আমাদের সদস্য, আর আমরা তাদের পরিবারের সদস্য।”তিনি বলেন, “আমার ক্ষুদ্র পরিবারের সাথে ঈদ হবে ঈদের পরের দিন। আর ঈদের দিনটা ঘুরে ঘুরে সবগুলা শহীদ পরিবারের দুয়ারে হাজির হয়ে তাদের দোয়া নেওয়ার চেষ্টা করবো।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই এক একটা ক্ষুদ্র পরিবার আছে। কারো মা-বাবা, স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন আছে, কারো হয়তো পরিবার আরও ছোট। আমরা চেষ্টা করি সাহরি এবং ইফতার একসাথে বসে করতে। এই শহীদ পরিবারগুলোও চেষ্টা করে, কিন্তু ওই একটা আসন খালি থাকে,ওই আসনে বসার কেউ নেই। মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ যেন ওই আসন একজন রহমতের ফেরেশতা দিয়ে পূরণ করে দেন।”
“আমি ক্ষুদ্র মানুষ, যেহেতু বলেছি শহীদ পরিবারগুলো আমাদের সদস্য, আমরাও তাদের পরিবারের সদস্য। এবার ইনশাআল্লাহ, যদি আল্লাহ আমাকে হায়াতে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে আমার ক্ষুদ্র পরিবারের সাথে ঈদ হবে ঈদের পরের দিন। আর ঈদের দিনটা আমি ঘুরে ঘুরে সব শহীদ পরিবারের দুয়ারে হাজির হয়ে তাদের দোয়া নেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, “ঠিক এই অনুরোধ আমি আমার সহকর্মীদেরও করব, যাতে তারাও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ান। যদি আমাদের সামান্য উপস্থিতির কারণে তাদের শূন্যস্থান কিছুটা পূরণ হয়, তাহলে মহান রবের দরবারে লক্ষ-কোটি শুকরিয়া আদায় করবো আলহামদুলিল্লাহ বলে।”
জামায়াত আমির আরও বলেন, “আজকে মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারছে, কিছুটা স্বস্তির সাথে চলাফেরা করতে পারছে, তা শহীদ এবং আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে। আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আমরা যেন এমন কোনো কাজ না করি, যা তাদের রক্ত এবং জীবনকে অপমানিত করবে। আমরা যেন সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় তাদের স্মরণ করতে পারি, আল্লাহ যেন সেই তৌফিক দান করেন।”
তিনি শহীদ স্মরণিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমরা যে শহীদ স্মরণিকাটা প্রকাশ করেছি, তা আপনাদের সহযোগিতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, স্মরণিকা আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে। কিছু জরুরি কাজের কারণে আমরা তা এখনো পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করবো, রমজান মাসের মধ্যেই অন্তত সেই ভলিউম আপনাদের হাতে তুলে দেওয়ার, যেখানে শহীদদের নাম রয়েছে। আর যদি আল্লাহ তৌফিক দেন, তাহলে ধাপে ধাপে সব ভলিউম আপনাদের হাতে পৌঁছে দেবো।”
সূত্র:https://tinyurl.com/mrne74jd
আফরোজা