
ছবি: সংগৃহীত
১৬ বছর স্বৈরশাসনের পর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় গঠিত এই সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মোঃ ইউনূস। তবে মন্ত্রিসভার গঠন নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এমন অনেকের ঠাঁই হয়েছে, যারা বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনের চরম ভুক্তভোগীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন গুমের শিকার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান, মাইকেল চাকমা বা ব্যারিস্টার আরমানের মতো ভুক্তভোগীদের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি?
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ক্রসফায়ারে নিহত ছাত্রনেতা নুরুল আলম নুরু ও নুরুজ্জামান জনির পরিবার থেকে কাউকে বিবেচনা করা হয়নি। র্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিকরা কিংবা বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলা সামরিক কর্মকর্তারাও সরকারের নজর পাননি। এমনকি শাপলা চত্বরে নিহত হেফাজত কর্মীদের পরিবারের কাউকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে সরাসরি মন্ত্রিসভার সমালোচনা করে লেখেন, “ক্ষমতায় বসে আপনারা তাঁদের সকলের অবদানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেবল নিজের পরিচিতদের সরকারে টেনেছেন।”
আসিফ