ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

আমরা মধ্যপন্থী সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল: শেখ রবিউল আলম

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৫:২৮, ৪ মার্চ ২০২৫

আমরা মধ্যপন্থী সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল: শেখ রবিউল আলম

নতুনরা যারা আসবে তারা পুরনোরা ব্যর্থ হয়েছে তাই বলবে সেটাই তো যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম।

সোমবার (৩ মার্চ) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ রবিউল আলম বলেন, নতুনরা মধ্যপন্থী একটি রাজনৈতিক দল করতে চান স্বাগত তাদের। কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যপন্থী সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তো আছে। এখন সেখানে মধ্যপন্থী আরেকটি দর্শন নিয়ে যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজনীতিতে আসতে চায় জনগণ যদি তাদেরকে স্বাগত করে সমর্থন দেয় জনবান্ধব যদি তারা হয় অথবা ধরেন তাদের গঠনতন্ত্র মূল নীতি ঘোষণাপত্র যদি মানুষকে আশান্বিত করে ডেফিনেটলি ভালো।

তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র তো আমরা চেয়েছি। বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক দলও আমরা ছিলাম। আমরা মধ্যপন্থী সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমাদের মধ্যে তরুণ আছে, প্রবীণ আছে, নবীন আছে সবই তো আছে। নিশ্চয়ই জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেও আছে। রাজনীতির এই প্রতিযোগিতাটাকে আমি খুব ইতিবাচকভাবে দেখি। সেই জায়গাটাতে আমি তাদের স্বাগতম জানাবো এবং তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজনীতি, জনবান্ধব রাজনীতি, জনকল্যাণের রাজনীতিতে ব্রত থাকবে এই প্রত্যাশা রাখবো।

খুব বেশি সমালোচনা করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, নতুনভাবে তারা এসেছে কাজ করুক জনগণের জন্য। ঘোষণাপত্র মূলনীতি যেগুলি বললাম তারা আনুক তাদের রাষ্ট্রীয় দর্শন কি হবে, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার কথা তারা যেমন বলেছে সেকেন্ড রিপাবলিক। হয়তো শুনে বলেছে বা জেনে বলেছে আমি জানি না। সেকেন্ড রিপাবলিক বাংলাদেশের প্রয়োজন আছে কি? প্রথমতো দ্বিতীয় হচ্ছে যে আমরা তো গণতান্ত্রিক দেশ। ফ্রান্সে যদি যাত্রা শুরু করেন পোল্যান্ডসহ কয়েকটা দেশে যেখানে হয়েছে সেখানে রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রয়োজন হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানটা গঠনতন্ত্র আছে সেই গঠনতন্ত্র যেটা বা শাসনতন্ত্র যাই বলেন না কেন আমাদের সংবিধানটা শাসনতন্ত্র রাষ্ট্রকাঠামো তাতে কোন পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে? হা সেটা ফাংশন করেনি দলীয় স্বার্থে ব্যবহার হয়েছে গত ১৭ বছর এটা সত্য। কিন্তু নতুন সংবিধান বলেন, নতুন রাষ্ট্রকাঠামো বলেন, সেইগুলি কি আপনি বিলুপ্ত করবেন। বিলুপ্ত করে আপনি গণতন্ত্রের পথে থাকবে পারবেন। যেমন আমি যদি বলি আমাদের ৩ টি বিভাগ শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এটা কি রাখবেন না! রাখবেন তো। এখন শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ সম্পূর্ণভাবে এটা কি স্বতন্ত্র আছে। এটা তো অস্বীকার করবেন না। কারো অধীনস্থ যাতে না থাকে একক বিভাগে যাতে আধিপত্য বিস্তার না হয় সেজন্য সেখানে সাংবিধান পরিবর্তন হতে পারে, ঐকমতের প্রয়োজন হতে পারে, রাজনৈতিক ব্যবহার যাতে না হয় সেটার প্রয়োজন হতে পারে। এবং সেই জন্যে আমরা জাতীয়তাবাদী দল ৩১ দফা দিয়েছি। সেখানে শাসনতন্ত্রের সংস্কারের কথা বলেছি, শাসন কাঠামোতে সংস্কারের কথা বলেছি অর্থনৈতিক যে কাঠামো সেখানে সংস্কারের কথা বলেছি, রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছি, মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের কথা বলেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেছি যে ত্রুটিগুলো আছে। এখন সেকেন্ড রিপাবলিকের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা তো একটা বিষয়। এটা জনগণ বিচার করবে।

সজিব

×