
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, রাজনৈতিক যে নতুন দলটি গঠিত হয়েছে তাঁরা এখন কৌশলের দিকে বেশি মনযোগ দিচ্ছেন। এক্সজেস্টিং যে সংবিধান আছে সেখানে কি ভোটের অধিকারের কথা বলা নাই, সেখানে কি বাকস্বাধীনতার কথা বলা নাই? সেখানে চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলা আছে, সেখানে কোন রকম মানবাধিকার লংঘন যাতে না হয় সেই ব্যাপারে গ্যারান্টি দেয়া আছে, সেখানে জনগণের মালিকানা দেশের মালিকানা জনগণের কাছে সেটাও বলা আছে তাহলে আপনি আসলে পরিবর্তনটা কোথায় করতে চান।
সোমবার (৩ মার্চ) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ তারা কিন্তু নতুন দলটির উপর অনেকখানি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখতে চেয়েছিল। তারা সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করতে চেয়েছিল যে বাংলাদেশ একটি নতুন ধারার রাজনীতি সূচিত হতে যাচ্ছে। তারা আশা করেছিল বাংলাদেশে যেই ধারার রাজনীতি গত ৫০ বছর ধরে তারা দেখেছে এবং যেই ধারার রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন একটা কিছু আমরা শুনতে পাবো। কিন্তু আমি গত ছয় মাস ফলো করলাম যে আসলে তারা কি করতে চাইছে। এবং তারা যা বলছে এবং তারা যা করছে এই দুটোর মধ্যে মিল কতটুকু অমিল কতটুকু। আমি নিজেও খুবই আশাবাদী একজন মানুষ ছিলাম যে নতুন ধরনের একটি রাজনীতি হয়তোবা বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন মাঠের পরিস্থিতি লক্ষ্য করলাম তারা যা বলছে তাদের অনেক কিছুই তাদের কাজের সঙ্গে মিল থাকছে না।
তিনি বলেন, আমি ছয় মাস ধরে তাদের অবজার্ভ করে বুঝলাম যেটা মূল ফোকাস হওয়ার কথা সেটা হচ্ছে যে কতগুলো ভালো ভালো কথাগুলো এতদিন কেতাবে ছিল কিন্তু কাজে ছিল না সেগুলোকে তারা কাজে পরিণত করতে চাইছেন। খুবই চমৎকার। সেগুলোকে যদি কেউ কাজে পরিণত করে তাহলে অটোমেটিক্যালি মানুষের সিমপ্যাথি বলেন, মানুষের ভোট বলেন, মানুষের সমর্থন বলেন সেটা কিন্তু অটোমেটিক্যালি তাদের কাছে যাবে। সেটা সেকেন্ড রিপাবলিক হবার কোন প্রয়োজন নাই।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, যদি এমন হতো যে বাংলাদেশের রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত আছে। রাজতন্ত্র থেকে তারা গণতন্ত্রের দিকে যেতে চায়। কিংবা যদি এমন হতো যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে কিন্তু তারা সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায় অর্থাৎ তারা পুরো সিস্টেমটার পরিবর্তন চায় তাহলে আমরা সেকেন্ড রিপাবলিকের কথা ভাবতাম।