
রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা দল নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, "শিশুশিল্পী দিয়ে কখনও রাজনৈতিক দল হয় না।" তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শুধুমাত্র তরুণদের নিয়ে দল গঠন করলেই তা সফল রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে না, বরং অভিজ্ঞ নেতৃত্বের সংযোজন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “কোনো বড় রাজনৈতিক শক্তি গঠনে শুধু নতুনদের দিয়ে হবে না, কিছু অভিজ্ঞ নেতারও দরকার। বড় কোনো সিনেমা যদি হিট হয়, সেখানে শিশু শিল্পী থাকে, কিন্তু বাবা-মায়ের চরিত্রে বয়স্ক অভিনেতাও লাগে। রাজনৈতিক দলেও তাই— অভিজ্ঞদের সংযুক্ত করা জরুরি।”
তবে তিনি স্বীকার করেন, নতুন এই রাজনৈতিক শক্তির কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। “এরা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছে, যা আগে খুব বেশি কেউ বলেনি। সাধারণ মানুষ রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে, কারণ তারা দেখে রাজনৈতিক দলে বড়জোর কর্মী হওয়া যায়, কিন্তু নেতা হওয়ার সুযোগ মেলে শুধু পরিবারের সদস্যদের। নতুন এই দলটি বলছে যে এখানে যে কেউ বড় নেতা হতে পারে, মন্ত্রী হতে পারে। এটা একটা ইতিবাচক দিক।”
তিনি আরও বলেন, “এই দলের মধ্যে নেতৃত্বের জায়গায় কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যেমন, ছাত্রশক্তি সংগঠন থেকে আসা নাহিদ এখন নেতা হলেও তার গুরু আক্তার হোসেন তার সচিব হয়ে গেছেন। অর্থাৎ, এখানে যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব গঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে, নাগরিক কমিটির নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ক্রমান্বয়ে নেতৃত্বের পেছনে চলে গেছেন, কিন্তু এতে কোনো বিদ্রোহ বা ভাঙন হয়নি।”
তবে মাসুদ কামাল মনে করেন, নতুন দলটির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে তাদের সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর। তিনি বলেন, “এখনও দলটি শীর্ষ পর্যায়ের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব পায়নি। তাই তাদের উচিত উপদেষ্টা মণ্ডলী গঠন করা, যেখানে অভিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতাদের জায়গা দেওয়া হবে।”
তরুণ নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, “এদের মধ্যে প্রবল সম্ভাবনা আছে, তবে সব খারাপ নয়, আবার সব ভালোও নয়। তাদের উচিত হবে অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা, তাহলে তারা দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারবে।”
এখন দেখার বিষয়, নতুন এই রাজনৈতিক দল কতটা সংগঠিত হতে পারে এবং তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=pICu21uioK4
রাজু